জৈদুল সেখ, কান্দি: রাত পেরলেই ২৯ এপ্রিল রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ। মুর্শিদাবাদে থাকবে ২১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মুর্শিদাবাদের ১১ আসন খড়গ্রাম, বড়ঞাঁ, কান্দি, ভরতপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল, জলঙ্গি।
মুর্শিদাবাদ জেলার ৬৮ কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রে একসময় কংগ্রেসকে টক্কর দেওয়ার মতো শক্তি বিরোধীদের কাউর মধ্যেই ছিল না। ১৯৭১সাল থেকে অতীশচন্দ্র সিনহার জমানা শুরু হয়েছিল। তিনি ১৯৮২ সাল পর্যন্ত টানা বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফের তিনি বিধায়ক হন। ২০০৬ সালের নির্বাচনে অধীরএই কেন্দ্রে নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন। তিনি নির্দল প্রার্থীকে জিতেয়ে এনেছিলেন। তারপর থেকে এই কেন্দ্রে তাঁর প্রভাব আরও বেড়ে যায়। বিগত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি এই কেন্দ্রে এগিয়েছিলেন। কিন্তু এলাকার বাসিন্দা থেকে রাজনীতিবিদের দাবি এখন কংগ্রেসের হাওয়া কমেছে, কমেছে তৃণমূলেরও হাওয়া। কংগ্রেসের হাওয়া কমার কারণ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় না থাকা তবে অধীরের ব্যাক্তিগত ইমেজ আর বর্তমানে জোট হিসাবে বামেদের ভোট এখনো সুবিধা পাবে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর সফিউল আলম খান। তৃণমূলের হাওয়া কিছুটা রয়ে গেছে কারণ হিসাবে অনেকের বক্তব্য এনআরসি বিরোধিতায় এবং আন্দোলন করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়েছে তৃণমূল। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, কান্দিতে কংগ্রেসের ম্যাজিক এখনও আছে। ভোটের ফলাফলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তৃণমূল এনআরসি নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। অসমে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসি হয়েছে। বিজেপি আর কোথাও তা চালু করতে পারেনি। আর এনআরসির বিরুদ্ধে আমরা আর বামেরা সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছি”।
তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, আমরা মানুষের কাছে গিয়ে উন্নয়নের কথা বেশি করে বলছি। এই রাজ্য সরকারের আমলে মহিলারা উপকৃত হয়েছেন। তাঁরা কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন”।
এলাকার ভোটাররা বলছেন, কান্দি শহরে কংগ্রেসের সঙ্গে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে তৃণমূল ও বিজেপির জোর টক্কর হবে”। আর এই যাবতীয় বিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন,” কান্দি শহরে নতুন ইতিহাস রচনার হবে। হাত কিংবা ঘাসফুল নয়, পদ্মফুল ফুটবে কান্দির বুকে”। তবে, উত্তর মিলবে ২ মে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct