আপনজন ডেস্ক: নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী উম্মে হাবিবা সিয়ামনিকে অপহরণের তিনদিন পর পলাশবাড়ী পৌর এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবলা মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা মোছা. মিনারা বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধা থানায় অপহরণ মামলা করেছেন। সোমবার স্কুলছাত্রীকে আদালতে হাজির করা হয় এবং তার জবাববন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে মায়ের জিম্মায় দেয়। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় মেয়েটি বর্তমানে শহরের ফকিরপাড়া নিজ বাড়ি থেকে তার দাদুর বাড়ি ডেভিড কোম্পানী পাড়ায় যাতায়াত করতো। সেখানে যাতায়াত করার সময় আসামি পলাশবাড়ি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জামালপুর গ্রামের ছেলে মেহেদী হাসান স্কুলছাত্রী সিয়ামনিকে প্রেম এবং পরবর্তীতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
জানা যায়, সিয়ামনিকে প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়েতে রাজি করাতে না পেরে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারা গত ১৫ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টার দিকে শহরের ফকিরপাড়া মসজিদের সামনে থেকে আসামিরা সিয়ামনিকে গাড়ি করে অপহরণ করে। এ ঘটনার পর আসামি বাবলা মিয়ার বাড়িতে স্কুলছাত্রীর মা মিনারা বেগম লোকজন নিয়ে হাজির হয়ে মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা মেয়েকে মেহেদীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করে। মিনারা বেগম নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তারা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর ভগ্নিপতি ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরবর্তীতে মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় ১৭ এপ্রিল রাতে মিনারা বেগম বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা করেন। এরপর তিনদিনেও অপহৃত সিয়ামনিকে উদ্ধার করে পুলিশ।