রফিকুল হাসান : হাম ডারনে ওয়ালে নেহি হু। আমরা আর ভয় পাই না। ভয় পাওয়ার জমানা শেষ। মোদিজির বিরুদ্ধে বললে সে দেশদ্রোহী, জেহাদি? এটা কিসের গণতন্ত্র? এভাবেই প্রশ্ন তুললেন মিম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েসী। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভার মিম প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মোফাককারুল ইসলামের হয়ে নির্বাচনী জনসভায় এসেছিলেন ওয়েসী। ওই সভা থেকে নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি। ইটাহারের সভা থেকে তিনি নিজেকে শের পরিচয় দিয়ে বলেন, ভয় পাওয়ার দিন শেষ। আমরা আর ভয় পাই না। ইটাহার বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী রাইস মিল মালিক। ইনি জনগণের কি খেদমত করবে? ইনি গরিবের চাল চুরি করে নিয়ে গিয়ে নিজের রাইস মিল বড় করবে। এভাবেই কটাক্ষ করেন আসাদউদ্দিন ওয়েসী। এদিন তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গোটা ভারতবর্ষ আজ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বেরিয়ে দেশের মানুষকে একমাত্র আলো দেখাতে পারে অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন। তাই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে মিম প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। ওয়েসীর প্রতিশ্রুতি, মিম প্রার্থীরা জয়ী হয়ে বাংলার বিধানসভায় গেলে মজলুম, নিপীড়িত মানুষের কথা বলবে। মিমের বিধায়করা দলিত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের চাওয়া পাওয়ার কথা বলবে। উল্লেখ্য, মিম এরাজ্যে প্রার্থী দিলে ভোট কেটে বিজেপিরই সুবিধা হবে। এই অভিযোগ বরাবরই করে এসেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এ অভিযোগকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে ইটাহার বিধানসভার মিম প্রার্থী আইনজীবী মোফাককারুল ইসলাম বলেন, সেজন্যই আমরা রাজ্যের 294 টা কেন্দ্রে প্রার্থী না দিয়ে মাত্র ছটি বিধানসভায় লড়াই করছি। ওয়েসী সাহেবের সিদ্ধান্ত মতো যে যে জায়গায় মিমের সংগঠন আছে এমন ছটি বিধানসভায় আমরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছি। প্রসঙ্গত সেগুলি হল, উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভা, মুর্শিদাবাদ এর জলঙ্গি, সাগরদীঘি, ভরতপুর, মালদার মালতিপুর বিধানসভা এবং আসানসোল উত্তর বিধানসভা। জেতার ব্যাপারে কতটা আশাবাদী? এব্যাপারে আইনজীবী মোফাককারুল ইসলাম বলেন, মিম ইটাহার বিধানসভায় জিতছে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয় নি। আমি এই এলাকার ভূমিপুত্র হিসাবে জিতে গোটা ইটাহার বিধানসভা এলাকার সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করবো।
বলাবাহুল্য, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় একটি ছবি প্রকাশিত হয় নরেন্দ্র মোদির কানে কানে কি যেন বলছেন ফেজ টুপি পরা এক "মুসলিম" যুবক। এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন আসাদউদ্দিন ওয়েসী। ওয়েসীর কথায়, ওই যুবক মোদিজির কানে কানে বলছিলেন, আমরা বাংলাদেশি নই। আর কি বলছিলেন? ওয়েসীর কথায়, আমরা এনআরসি, এনপিএর এর জন্য কাগজ দেখাবো না। তিন তালাক বিলকে মানব না। আমি তো টুপি পরেছি, আমার মতো আর দেশবাসীকে দয়া করে টুপি পরাবেন না। এসব কথাই নরেন্দ্র মোদিকে শোনাচ্ছিলেন ওই যুবক। এমনই মনে করেন মিম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েসী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct