আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও অবাঞ্ছিত কাজ দেখলেই তাদের বিরুদ্ধে ঘেরাও করার ও মুসলিমদের প্রতি ভোট ভাগ না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্য করার দায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ, মমতা এই মন্তব্য করে নির্বাচন বিধি লঙঘন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মমতা মঙ্গলবার কলকাতায় গান্ধি মূর্তির পাদদেশে দুপুর বারোটা থেকে ধর্নায় বসার ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জারি করা নোটিশ অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত কোনও নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার বারাসত, বিধাননগর, হরিণঘাটা ও কৃষ্ণগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার কথা ছিল। আর শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪ জনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞার ফলে মমতা সেগুরিতে যেতে পারবেন না। তাই মমতা এইর প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করে জানান, মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এক নির্বাচনী সভায় মমতা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘কে এত ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে েয তারা মহিলাদের হুমকি দিয়ে ভোট দিতে দেবে না” এই ঘটনা দেখেছিলাম ২০১৬ সালে, একই দেখেছিলাম ২০১৯-এ।’
মমতা আরও বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। আমি মহিলাদেরকে বলব ছোট ছোট গোষ্ঠী করে ঘেরাও করতে। তখন যেন ান্য গোষ্ঠী ভোট দিতে যায়।’
এছাড়া, তারকেশ্বরে মমতা মুসলিমদের প্রতি আবেদন জানিয়েছিলেন, মুসলিমরা যেন ভোট ভাগাভাগি না করে। তাতে বিজেপির সুবিধা হবে। সেই সব মন্তব্যের দায়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড় দিতে চায়নি নির্বাচন কমিশন। যদিওন অসমেন মন্ত্রী হিমন্ত শর্মাকে প্ররোচনামূলক বক্তৃতার জন্য প্রথমে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর তা কমিয়ে ২৪ ঘণ্টা করেছিল কমিশন। মমতার ক্ষেত্রে কিন্তু সেই ছাড় মেলেনি। তাই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের জোরালো অভিযোগ উঠছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct