আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মুসলিম ভোট বিজেপিকে চিন্তায় ফেলে দিতে পারে, সেই আশঙ্কা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে ইদানিং কালে তার মন্তব্যকে ঘিরে। সেই সঙ্গে সু কৌশলে হিন্দু ভোটকে এক হয়ে বিজেপিকে সমর্থন করার ডাক দিলেন। বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা মমতার সঙ্গে নেই। তাহলে মুসলিম ভোট কোনদিকে যাবে তা নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি।
সম্প্রতি মমতার এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মোদি বলেন, সম্প্রতি মমতা বলেছেন, সব মুসলমান একজোট হও। ভোট যেন ভাগ না হয়। এই কথা বলার অর্থ মুসলিম ভোট ব্যাংককে মমতার নিজের শক্তি মনে করা। কিন্তু তা মমতার হস্ত থেকে বেরিয়ে গেছে, মুসলমানও এখন ওর সঙ্গে নেই, বাংলায় দিদির হার নিশ্চিত।
সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, যদি এর উলটোটা হতো। যদি বিজেপি বলত যে সব হিন্দু একজোট হয়ে আমাদের ভোট দেও। তাহলে নির্বাচন কমিশন এতক্ষণে ৮ – ১০টা নোটিশ পাঠিয়ে দিত।
এছাড়া নন্দীগ্রামে বারে বারে জিতবেন বলায় মমতা যে হাড়ছেন তা নিশ্চিত বলে মন্তব্য করেন মোদি।
আসলে মোদি খুব সুচতুরভাবে সাম্প্রদায়িক তাস খেলে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আসলে মোদি বোঝাতে চেয়েছেন, মমতা মুসলিম ভোট ছাড়া জিততে পারবেন না। কিন্তু বাস্তব বলছে মুসলিম ভোটের বেশিরভাগই যাবে তৃণমূলের দিকে। সুকৌশলে মোদি বোঝাতে চেয়েছেন মুসলিমরা মমতাকে এবার ভোট দিচ্ছেন না। তাহলে সেই ভোট পাওয়ার আশা করছে কে?
এভাবে জোর প্রচার চালিয়ে একদিকে যেমন মোদি বলছেন নন্দীগ্রামে মমতা হারছেন, তেমনি বলছেন মুসলিম ভোটও হারাচ্ছেন। ভোট আট দফায়। সবে তিন দফা। এভাবে গোয়েবলসীয় পদ্ধতি চালিয়ে যেতে পারলে পাছে মানুষ সত্যি বিশ্বাস করে নিয়ে পরবর্তী দফাগুলিতে ভোটের মেরুকরণ হতে পারে। সেই কৌশলেই মোদি প্রায় রোজ মমতা হারছেন বলেই চলেছেন। তাই মানুষের মনে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে, সত্যিই মমতা নন্দীগ্রামে কি জিতছেন? এভাবে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে বিজেপিকে কতটা সুবিধা দিতে পারেন সেটাই দেখার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct