মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: ভোট এলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ও নেতারা ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। সে রকম অভিযোগ নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ঘড়িয়া দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই এলাকায় গঙ্গা ভাঙ্গন রোধে রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রতিশ্রুতি দিলেও গঙ্গা ভাঙ্গন রোধে কোনো অগ্রগতি হয়নি জানান বাসিন্দারা। সোমবার গভীর রাতে আবারো গঙ্গার ভাঙ্গন দেখা দিলেও কোন দলের রাজনৈতিক নেতাদের দেখা মেলেনি বলেই অভিযোগ। এলাকাবাসীরা জানান, বিহারিয়া মঠপাড়ায় গঙ্গা ভাঙতে শুরু করে ভাগীরথীর পাড়। ওই অঞ্চলে এক কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচ ছবার চাষের জমি, ইঁটভাটা, ফলন্ত গাছ সবকিছু নদীগর্ভে গঙ্গার তীরবর্তী চটি পরিবার জন্ম ভিটা ত্যাগ করে চলে গেছেন অন্যত্র। ২০০০ সালের বন্যার পর ভাগীরথী গর্ভে বিরাটাকার একটি চর দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্য কোন বন্যা না হওয়ার ফলে সেই চরেই ধাক্কা লেগে জলরাশি ক্রমশ এগোচ্ছে লোকালয়ের দিকে।
লকডাউনের প্রথম দিকে জেলা সভাধিপতি জেলা শাসক পৌঁছানোর পর একটি বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও খুশি নন এলাকাবাসী। তাদের মতে বালির বস্তার সাথে অধিকাংশই মাটির বস্তা দেওয়া হচ্ছে, পাড়ের যে অংশটি জলের উপরে আছে সেখানে বেশি পরিমাণে বস্তা দেওয়া হচ্ছে চোখে পড়ার জন্য। অথচ জলের নিচে তিনটি স্তরে বালির বস্তা দেওয়া হলে জলের ধাকা থেকে অনেকটাই বাঁচানো যেতে পারে। পাড় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য সেচদপ্তর থেকে এক প্রতিনিধি দল দেখতে আসেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা অন্যদিকে প্রশাসনিক নিয়ম নীতির কথার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হতে দেখা যায়।
তবে এই বিধানসভার কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকেই এখনো পর্যন্ত গঙ্গার পাড়ে দেখা যায়নি কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার স্থানীয় মানুষজন এই বিপদের সময় কোন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেখা নেই। সেচ দপ্তরের আশ্বাসে নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে বস্তা ফেলা কাজ। বস্তা ফেলার পরেও আবারও নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
তাদের বক্তব্য গঙ্গা ধার দিয়ে কতদিন পর্যন্ত পাকাপোক্ত কাজ না করবে সরকার ততদিন ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct