এহসানুল হক, বসিরহাট: বিজেপির দলীয় পতাকা টানানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ।এই ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে হাসনাবাদের ভবানীপুর মডেল এলাকায় বিজেপির দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন স্থানীয় বেশকিছু বিজেপির কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় ওই বিজেপি কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এলাকার তৃণমূলের কর্মীরা বলে খবর। পাল্টা বিজেপির কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে প্রায় ১৫ জন গুরুতর আহত হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পর আহত বিজেপি কর্মীদের দেখা করতে যান হাসনাবাদের বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজী ওরফে বাবু মাস্টার। তিনি হাসনাবাদের ভবানীপুর মডেলের যাওয়া মাত্রই স্থানীয় বেশকিছু তৃণমূলের কর্মীরা রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে ওই বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজী যেতেই তাকে মারতে উদ্যত হয় এলাকায় তৃণমূলের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তারপর হাসনাবাদ থানা সংলগ্ন অন্যান্য থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। পরে অন্য রাস্তা ঘুরিয়ে ওই বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজী কে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে পুলিশকর্মীরা। ঘটনার পর এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। আহত ৩ বিজেপি কর্মী বর্তমানে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে এক বিজেপি কর্মীর বাঁশবাগানে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। তাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যদি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন হিঙ্গলগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক, দেবেশ মন্ডল।
এদিন তিনি সাংবাদিকদের বলেন মিয়ারাজ আদলদার নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে জোরপূর্বক বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা পতাকা লাগাতে যায়। সেই সময় ওই বাড়ীর মালিক প্রতিবাদ করায় তার উপরে চড়াও হয় এবং তার বাড়ির বেশ কয়েকজন আহত হয়। এদিন তিনি বলেন, মিয়ারাজা তিনি কি পার্টি করেন জানা নেই কিন্তু বিজেপির পতাকা লাগানোর প্রতিবাদ করায় ,বিজেপির কর্মীরা যে ভূমিকা দেখিয়েছে এটা কোন মতেই কাম্য নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct