নাজমা আহমেদ: দু’জন মানুষ একসঙ্গে থাকলে মতের অমিল হতে বাধ্য। মানুষের প্রকৃতিই তাই। কিন্তু যখন স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ঝগড়া হয়, এই সাধারণ কথাটা আমরা কেউই মনে রাখি না। তখন মনে হয় ‘কেন আমাদের মধ্যেই ঝগড়া হচ্ছে?’ সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই প্রশ্নটাকেই বাদ দিতে হবে। বরং ভাবতে হবে, ঝগড়া না হয় হয়েছে, কিন্তু এর পর কী ভাবে খারাপ স্মৃতিগুলো মুছে সামনের দিকে এগোনো যায়। সম্পর্কে যদি গুরুতর কোনও সমস্যা বা ভুল বোঝাবুঝি থাকে, এড়িয়ে না গিয়ে তার সমাধান খোঁজা দরকার। এখানে রইল কিছু হদিশ।
কোনও কিছু আগে থাকতে ধরে নেবেন না
একটু তলিয়ে ভাবলে দেখবেন অধিকাংশ ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে আগে থাকতে কিছু ধরে নেওয়ার একটা প্রবণতা কাজ করছে। হয় আপনি ধরে নিয়েছেন, নয়তো উনি। তেমন কিছু হয়ে থাকলে নিজের কাছে স্বীকার করুন। উনি যদি কিছু ধরে নিয়ে থাকেন যা ঠিক নয়, তা হলে সরাসরি কথা বলুন। নিজের ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিন।
অপর ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিটাও বুঝুন
দু’জন ভিন্ন মানুষের মতামত ভিন্ন হবে, এটাই স্বাভাবিক। আপনার স্বামীর মত আপনার চেয়ে ভিন্ন মানেই তিনি ভুল, এমনটা নয় কিন্তু! এটা মেনে নিলেই শান্তিতে থাকতে পারবেন। ওঁর মতামতকে গুরুত্ব দিন, সম্মান করুন, নিজের স্বাতন্ত্র্যও বজায় রাখুন।
নিজের ইগো নিয়ে বসে থাকবেন না
একটা সম্পর্ক মজবুত রাখতে দু’জনেরই সমান দায়িত্ব রয়েছে। প্রয়োজনে সম্পর্কের বরফ ভাঙতে নিজেই এগিয়ে যান। দেরি করলে সমস্যা আরও বাড়বে, তাই নিজে থেকে কথা বলুন। পারস্পরিক দোষারোপ করার বদলে খোলাখুলি আলোচনা করুন। কে ঠিক, এটা প্রমাণ করা আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং সম্পর্কটা সহজ করাই উদ্দেশ্য, এটা বুঝতে শিখুন।
তৃতীয় ব্যক্তিকে ঢুকতে দেবেন না
কথায় কথায় বন্ধু বা নিকট আত্মীয়কে মধ্যস্থতা করতে ডাকবেন না। নিজেদের সমস্যা নিজেরা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। ব্যক্তিগত সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি ঢুকে পড়লে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। নিজেরা চেষ্টা করে একেবারেই কিছু কাজ না হলে রিলেশনশিপ কাউন্সেলরের সাহায্য নিতে পারেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct