এহসানুল হক, বসিরহাট: পেশায় তিনি চক্ষু চিকিৎসক। কিন্তু এবার তিনি লড়াই চালাবেন রাজনৈতিক ময়দানে। তবে অপারেশন থিয়েটার থেকে একেবারে রাজনৈতিক ময়দানে নামটা সহজ নয়। তাই সেখানেও মানবসেবা কেই হাতিয়ার করে প্রচারে নামলেন বসিরহাটের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ডা. সপ্তর্ষী ব্যানার্জি। বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কখনো শিশুদের কখনো আবার বৃদ্ধাদের বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা করছেন। তার এমন অভিনব উদ্যোগ এলাকার মানুষ খুবই খুশি। সামনে ভোট এবার তৃণমূলের যুযুধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। তাই শুধু কর্মীসভা করেই দলীয় মনোবল চাঙ্গা করাই নয়। সাধারণ মানুষের প্রতি সামাজিক দায়িত্ব পালন করাও গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে। নিজের পেশাগত দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন ডা. সপ্তর্ষী।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের দিন যখন তার নাম ঘোষিত হয়েছিল, সেই সময় তিনি অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন। খবরটা শুনে চমকে গিয়েছেন বসিরহাটের দক্ষিণের এই প্রার্থী। বহু মানুষের দৃষ্টির সুরক্ষিত করেছেন তিনি। নামলেন রাজনীতিতে। বসিরহাট টাউন হাই স্কুল ছাত্র ছিলেন সেই সময় বসিরহাটের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে ছিলেন তিনি। এদিন বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সপ্তর্ষী ব্যানার্জি বলেন, ছোটবেলা থেকেই বসিরহাটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক আমার। বসিরহাটের সমস্ত অলিগলি আমার চেনা। চিকিৎসক হওয়ার সুবাদে লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে আমার পরিচিত ঘটেছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে শহর ঘুরে বেড়াচ্ছি।বসিরহাটের মানুষ আমাকে খালি হাতে ফেরাবে ন।
বসিরহাট পৌরসভা সমস্ত নেতা থেকে শুরু করে এবং বসিরহাট ব্লক তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি সাহানুর মন্ডলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যে ভাবে তিনি সাতটি পঞ্চায়েতের আমাকে নিয়ে প্রচার করছেন আমি উৎফুল্ল।কারন এই সাতটি পঞ্চায়েতে ২২০০০ হাজার ভোটের ব্যাবধান রেখেছিল তৃণমূল ২০১৬ সালে। তৃণমূল প্রার্থী ২৪৫০০ ভোটে জিতেছিল। এবার ব্যবধান আরো বাড়বে বলে মনে করেন। এদিন তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই বসিরহাট থেকে আমাকে আপনারা যদি জেতান।তাহলে আপনাদের ভেলোর কিংবা বাইরে রাজ্যে যেতে হবে না চিকিৎসা করাতে। বসিরহাটে হবে ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct