জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া : জমির কাগজ না থাকলেও হয়ে যাচ্ছে রেকর্ড। বিনিময় টাকা। এমনই অভিযোগ ঝালদা শহর তৃণমূল যুব সভাপতির। টাকা দিলে একের জমি অন্যের নামে রেকর্ড করতে লাগছে না ৫ মিনিট। না দিলে নিজের কাগজ থাকলেও মাসের-পর-মাস নয় বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে রেকর্ড করাতে। এমন অভিযোগ ঝালদা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এর বিরুদ্ধে।
যুব সভাপতি রাজেশ রায় আরও জানান, বিশেষ করে আমার ওয়ার্ডের এমনই এক ঘটনার জন্য এসেছি দপ্তরে। যেমনটা ঝালদা মৌজার ১৩১ এর প্লট নাম্বার ৬৪০৫ জমির উপর দুটি খতিয়ান নাম্বার ৩৮৯৬ সুধারানি চৌধুরী ও ১৯৫৪ প্রফুল্লল্লিনি দেবী এবং সুধারানি চৌধুরী নিজের জমি বিক্রি করেছেন ও প্রফুল্লল্লিনি দেবী ছবিরানি চৌধুরীকে বিক্রিকরেছে এবং ৬৪০৫ প্লট জায়গাটির উপর 2004 সাল থেকে কেশ চলছে। তার মাঝে কি ভাবে পুরো জমিতেই একজনের নামে রেকর্ড হয় তাই জানতে এসেছি।
অভিযোগ শুধু একটা বা দুটো নয় শয়ে শয়ে পাওয়া যাবে। টাকা দিলে অফিস টাইম এর পরেও হচ্ছে কাজ। অফিসাররা নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে এমন দুর্নীতি বলে অভিযোগ। জমির এই ভুল রেকর্ড নিয়ে কোথাও কোথাও মারামারি চলছে একে অপরের সাথে। এই দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। ঝালদা থানার নতুনডি গ্রামের মন্টু কর্মকার জানান, নতুনডি গ্রামে ১২৩৩ নম্বর প্লটে রাজ্য সরকার প্রদত্ত পাট্টা পান ১৯৮৬-৮৭ সালে। তখন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এর আমিন গিয়ে জমির সরেজমিনে তদন্ত করে চিহ্নিত করে দেন। সেই অনুসারে রেকর্ড ও দখল করে আসছেন। চাষবাস করে আছেন জমিটিতে কিন্তু হঠাৎ সেই রেকর্ড এখন অন্যের নামে হয়ে গেছে। বিষয়টা জানতে পেরে দপ্তরের এক কর্মী গৌতম বাবুকে ২৩ শত টাকাও দেন সংশোধনের জন্য। তবু আজও হয়নি সংশোধন। যার নামে বর্তমান রেকর্ড হয়েছে সেই মদন মাহাতোর ছেলে দখল নিতে এলে মাঝেমাঝেই ঝামেলা, মারামারি হচ্ছে। যে কোন সময় হতে পারে বড়োসড়ো ঘটনায়। এই আশঙ্কায় ভুগছে মন্টু কর্মকার ও তার পরিবার।
একই অভিযোগ ঝালদা পৌরসভার 8 ( আট ) নাম্বার ওয়ার্ডের পরশুরাম কাঁন্দুরও। অভিযোগ তার ২৯ ডিসমিল জায়গা অন্যের নামে রেকর্ড হয়ে গেছে। সে নিজেও জানে না আর অন্য কাউকে বিক্রিও করে নি। দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার সত্যজিত কুন্ডু বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct