আপনজন ডেস্ক: দেশের যে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে যেমন পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে তেমনি আছে অসম। বৃহস্পতিবার অসমে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বরাক উপত্যকায় ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কোথাও লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। কোথাও শূন্যে গুলি চালাতে হয়েছে। রাবে ইভিএম সুরক্ষিত আছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
তবে করিমগঞ্জে নির্বাচন কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে করে ইভিএম মেশিন নিয়ে যাওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই ঘটনায় জড়িত চারজন অধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে। করিমগঞ্জের রাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গেছে, পাথারকান্দির কাছে যে আসনে বিজেপি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সেই আসনের বুথের ইভিএম মেশিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পালের স্ত্রী মধুমিতা পালের গাড়িতে। সেই খবর জানতে পেরে বিরোধী দলের পক্ষে অভিযোগ করা হয়। এর পর বিষয়টি সামনে এসে।
অসমে বৃহস্পতিবার কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিতে ভোট হয়। ৭৭ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। তবে ইভিএম কাণ্ড প্রসঙ্গে জানা যায়, রাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৪৯ নাম্বার বুথ ইন্দিরা এম ভি স্কুলে ভোট শেষ হওয়ার পর ইভিএম মেশিন স্ট্রং রুমে পাঠানোর তোড়জোড় হয়। তখন রাত প্রায় ৯টা। প্রিসাইডিং অফিসার সেক্টর অফিসারের সঙ্গে গাড়ির ব্যবস্থার কথা বললে একটা গাড়ি পাঠানোর আশ্বাস দেন।
এরপর রাত ৯.২০ মিনিট নাগাদ ইভিএম মেশিন একটি প্রাইভেট গাড়িতে কোনো মালিকানা পরীক্ষা ছাড়াই তুলে দেন ভোট কর্মীরা।
বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পালের নির্বাচনী হলফনামা থেকে জানা যায় গাড়িটি তার স্ত্রী মধুমিতা পালের নামে যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর AS10B0022. গাড়িটি যখন ইভিএম নিয়ে রাত ১০টা নাগাদ গাড়িটি যখন স্ট্রং রুমের এলাকার দিকে যাচ্ছিল তখন স্থানীয় ও বিরোধী দলের সমর্থকরা গাড়িটি চিহ্নিত করেন যে এটি বিজেপি প্রার্থীর। তখন তারা গাড়িটি ঘিরে ধরে ইট ছুড়তে থাকে। বিপদ বুঝে গাড়ির ড্রাইভার ও পুলিশ দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি শাসিত অসমে শাসক দলের প্রার্থীর গাড়িতে কিভাবে ইভিএম তোলা হল। কি উদ্দেশ্য ছিল, সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।
এ ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেছেন, অসমে বিজেপির জেতার একমাত্র উপায় হচ্ছে ইভিএম লুট করা। ইভিএম কব্জা করে বুথ দখল করা। এ সবই হয়েছে নির্বাচন কমিশনের নাকের ডগায়। এই দিনটি তাই গণতন্ত্রের দুঃখের দিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct