সেখ আনোয়ার হোসেন, হলদিয়া: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে অপারেশন হলো হার্ট সার্জারি সেই সঙ্গে কিডনি রোগ থেকে মুক্ত হলেন সুতাহাটা থানার অন্তর্গত হোড় খালি অঞ্চলের দূর্বাবেড়িয়া গ্রামের অধিবাসী শেখ আনোয়ার আলীর পুত্র শেখ আক্তার আলি। শেখ আক্তার আলী বলেন, দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত আমি শারীরিক বিভিন্ন অসুখে ভুগছি। আমি দুস্থ, শ্রমজীবী মানুষ। পরিবারে তিনটি মেয়ে স্বামী-স্ত্রী ও পিতা মাতাকে নিয়ে দিন কাটে সাতজনের। খোরাক পোশাক জোগাতে হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর এই রকম কঠিন রোগে পুরো পরিবারটি শেষের পথে। এমতাবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ঘোষণা করেন। ১৯/০১/২০২১ তারিখে তাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকারের শিবিরের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য আবেদন করেন আখতার। সেই আবেদন মূলে হোড় খালি অঞ্চলের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পান। সেই কার্ড নিয়ে ভেলোর ক্রিশ্চিয়ান হসপিটালে ভর্তিম হন চিকিৎসার জন্য। সেখানে এই কার্ডের সহযোগিতায় যাবতীয় রোগের চিকিৎসা হয়। আখতার জানান, বিল হয় দু’লক্ষ ২৮ হাজার টাকা সেই টাকা আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যয় করা সম্ভব ছিল না। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে সেই টাকা মকুব হয়। ফলে আমি উপকৃত হই। আমার পরিবার অর্থনৈতিক অভাবগ্রস্ত থেকে বেঁচে যায়। গ্রামের মানুষ খুবই খুশি। এই কার্ডের উপকৃত গ্রামের ছেলে। আখতার আলি তাই সকররে কাছে আবেদন জানান, সবাই যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা সাধারণ মানুষ নেয়। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পকে মানবিক প্রকল্প হিসেবে দেখতে অনুরোধ করেন। ্উল্লেখ্য, বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করে আসছে স্বাস্থ্য সাথী আসলে একটি ভাওতা কার্ড। তবে প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বেশ উজ্জীবিত। সামনে বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই সাধারণ মানুষের উপকার ওদের মুখের মতো জবাব। স্থানীয় বিরোধী নেতারাও অবশ্য স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে উপকারের কথা স্বীকার করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct