নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: মাত্র আটদিনের ব্যবধান।নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী। যদিও তিনি বিজেপিতে যৌগদানের কথা অস্বিকার করেছেন। নির্বাচনের সময় কর্মীদের মনোবল দুর্বল করার জন্য বিজেপি তাকে নিয়ে অপপ্রচার করেছে।এই নিয়ে শুরু হয়েছে নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। বিজেপিতে যোগদানের খবর পেয়েই সন্তোষ চৌধুরীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় গাদ্দার বলতেও ছাড়েননি তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি মনোজ রাম সহ কর্মীরা। তাকে দল কখনো মাফ করবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। শেষমেষ আবার সন্তোষ চৌধুরী ফিরলেন তৃণমূলেই।জানা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা পারিষদের সদস্য ছিলেন সন্তোষ চৌধুরী। গত ৭ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাধিপতি গৌর চন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে মোট ১৪ জন জেলা পরিষদের সদস্য কলকাতায় গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বলে খবর। বিরোধী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে মালদা জেলা পরিষদ ভেঙে যাওয়ার একটা গুঞ্জন ওঠে। জেলা পরিষদ ভাঙছে না বলে সেই সময় প্রেস মিট করে জানিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মৌসুম বেনজির নূর। এবং দলবিরোধী কাজকর্মের জন্য গৌর চন্দ্র মণ্ডল সহ জেলা পরিষদের মোট ১৪ সদস্যকে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয় বলে সূত্রের খবর।
আটদিন আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে মালদা জেলার তৃণমূলের ১৪ জন জেলা পরিষদ সদস্য সহ বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল এর নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপি পার্টি অফিসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। সে সময় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি করেছিল জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে আসলো। কিন্তু সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই হরিশ্চন্দ্রপুর ৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী সিদ্ধান্ত বদল করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তোষ চৌধুরী কে তখন গাদ্দার আখ্যা দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু সপ্তাহ গড়াতে না গড়াতেই বুধবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সন্তোষ চৌধুরী নিজেই প্রকাশ্যে জানালেন তিনি বিজেপিতে যোগদান করেননি। তিনি তৃণমূলের রয়েছেন। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তার নামে মিথ্যা কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে এলাকায়। এই জন্যই তিনি সরব হয়েছেন।
এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি শুধুমাত্র দলের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য এ ধরনের মিথ্যা খবর বিজেপি ছড়াচ্ছে। সন্তোষ চৌধুরী কখনোই বিজেপিতে যোগদান করেননি। একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল দলের মধ্যে। বিজেপি সেটা মিথ্যা খবর প্রচার চালাচ্ছে। এদিন তারা প্রেস মিট করে পরিষ্কার করে দিল। জেলা পরিষদ সদস্য সন্তোষ চৌধুরী তৃণমূলেই রয়েছে।এ প্রসঙ্গে ৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী জানালেন আমি কোনদিনও বিজেপিতে যোগদান করেনি। তাছাড়া জেলার দলত্যাগী জেলা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে আমি অনুপস্থিত ছিলাম। আমি কাজের জন্য কয়েকদিন বাইরে ছিলাম। সে সময় আমার নামে ভুয়া খবর ছড়িয়ে এলাকার বিজেপির নেতারা দলের মধ্যে আমার বিরূপ ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আমি আগে তৃণমূলের ছিলাম এখনো তৃণমূল এই আছি। এবং আগামীতে আমার বিধানসভা এলাকায় ৪৫ নম্বর চাঁচলের নিহার রঞ্জন ঘোষের হয়ে প্রচারে নামবে আগামীতে।
এ প্রসঙ্গে ৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী জানালেন, আমি কোনদিনও বিজেপিতে যোগদান করেনি।
তাছাড়া জেলার দলত্যাগী জেলা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে আমি অনুপস্থিত ছিলাম। আমি কাজের জন্য কয়েকদিন বাইরে ছিলাম। সে সময় আমার নামে ভুয়া খবর ছড়িয়ে এলাকার বিজেপির নেতারা দলের মধ্যে আমার বিরূপ ভাবমূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আমি আগে তৃণমূলের ছিলাম এখনো তৃণমূল এই আছি। এবং আগামীতে আমার বিধানসভা এলাকায় ৪৫ নম্বর চাঁচলের নিহার রঞ্জন ঘোষের হয়ে প্রচারে নামবে আগামীতে।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস জানান একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল তার ফলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় সন্তোষ চৌধুরী দলত্যাগ করেছেন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। উনি মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মণ্ডলের চাপে সই করে দেন। পরে সেটা বুঝতে পারেন। আগামীতে ১০ নম্বর জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল মণ্ডলও ফিরবেন এই আশা করছি।
দল বিরোধী সন্তোষ চৌধুরীকে মেনে নিতে পারবে কর্মীরা! এই নিয়ে শুধু হয়েছে জল্পনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct