জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: ডিজিট্যাল প্রচার ,আধুনিক ভোট যুদ্ধের যুগেও প্রচারের আলো পৌঁছায়নি গ্রামে। আর এই, নেই রাজ্যে পা পড়েনি কোনো প্রার্থীর, ভোট এখানে দরজায় কড়া নাড়েনি।
প্রথম পর্যায়ে রয়েছে পুরুলিয়ার ভোট। তবুও পৌঁছায়নি ভোটের উত্তাপ গ্রামে। নেই দেওয়াল লিখনের ভোটযুদ্ধ, হয়নি কোন রাজনৈতিক মিটিং মিছিল। নিরুত্তাপ এই মানুষগুলো শুধুই শুনছেন ভোট আসছে। এমনই চিত্র ধরা পড়লো পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লকের প্রত্যন্ত কুচিয়া এলাকার সবুজ জঙ্গল ঘেরা গ্রামগুলোতে। স্থানীয়দের কথায়, সংসার চালানোর যন্ত্রণায় জীবন ছন্দে ভেসে যায়, তারপর কবে ভোট ?কখন ভোট কে বা জানে? এমনকি এখনো ওরা এটাও জানেন না ভোট কেন হয় ? এমনই অবস্থা দেখে খুব সহজেই মনে হয় ইন্টারনেটের যুগেও যেন থমকে আছে এই গ্রাম গুলির সহজ সরল প্রকৃতির নিরীহ মানুষগুলো। স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা গেলো গণতন্ত্র তার শেষ হাসি হেসেছে হয়তো বা এই পরিমণ্ডলেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের প্রত্যেকের ভোটার কার্ড রয়েছে অথচ ভোট কবে হবে সেটাই জানেন না ওরা! হ্যাঁ তবে ওরা জানেন সকলেই ভোট আসছে |গ্রামবাসীদের মধ্যে জয়দেব মুর্মু জানান, গ্রামের মানুষজন জঙ্গলের শুকনো কাঠ সংগ্রহ করে বিক্রি করেন স্থানীয় বাজার হাটে। আর তাতে যেটুকু পয়সা হয় তাতেই চলে সংসার।
জানা যায় গ্রামে ভোটার সংখ্যা রয়েছে কম করে ২৫০এর কাছাকাছি। গ্রামবাসী সবি বেসরা জানান, ভোট কবে হবে জানি না ,কেউ গ্রামে এসে বলেও দেয় না ভোট কবে? দেওয়াল লিখনও হয়নি গ্রামে।
এমনই চিত্র দেখে হতবাক না হওয়ার আর কোন প্রশ্ন চিহ্ন থাকলো না। এককথায় প্রত্যন্ত এই গ্রামের মানুষজন বোঝে না রাজনীতির মানে কি? তারা বুঝতে চায় না,শুধু চাই সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার টুকু। আর সেইটুকু পেলেই তারা খুশি। তাদের কথা কানে যায় না কারোর। আগেও যায়নি, এখনো যায়নি। পরেও যাবে কিনা তা বলবে সময়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct