আপনজন ডেস্ক: বাঙালির পাতে ছোলা সারা বছর থাকবেই। মুড়ি মাখায় ছোলার উপস্থিতি সবচাইতে বেশি দেখা যায়। রাস্তার পাশের দোকান থেকে এক প্লেট ছোলা খেয়ে বিকেলের নাস্তা সেরে ফেলা মানুষ পাওয়া যাবে অসংখ্য। আবার ব্যায়ামবিদ কিংবা স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই সকালে একমুঠ ভেজানো কাঁচা ছোলা খান। ছোলা হজমে সাহায্য করে।হজমক্রিয়া সহজ করার জন্য আবশ্যক একটি উপাদান হল ভোজ্য আঁশ। আর এই ভোজ্য আঁশের অভাব পুরো বিশ্বব্যাপি একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা। ছোলা সেই ভোজ্য আঁশের ঘাটতি পূরণে অনন্য একটি খাবার। ছোলা কোলেস্টেরল কমায়। সুস্থ থাকতে হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ কোলেস্টেরল বেশি থাকার কারণে দেখা দিতে পারে হৃদরোগ, শারীরিক স্থূলতা, স্ট্রোক ইত্যাদিসহ অনেক দূরারোগ্য ও প্রাণঘাতি রোগ। আর ছোলায় থাকা দ্রবণীয় ভোজ্য আঁশ এখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ন। অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে ওই ভোজ্য আঁশ, যা পক্ষান্তরে কমায় কোলেস্টেরল। এছাড়া এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আমাদের শরীর এক চমৎকার সৃষ্টি। জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে তা ধ্বংস করতে পারে, মায়ের গর্ভে নতুন মনুষ্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি করে, আশপাশের বিভিন্ন ক্ষতিকর বস্তু থেকে আমাদের সুরক্ষা দেয়, আরও কত কী। আর যখন আমরা ছোলা ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ করি তখন শরীরের এই সকল প্রক্রিয়া সহযোগিতা পায়। ছোলা পেটে গিয়ে তৈরি করে ‘বিউটারেট’ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই ‘ফ্যাটি অ্যাসিড’ মানুষের শরীরের রোগাক্রান্ত ও মৃতপ্রায় কোষ দমন করে যাতে সুস্থ কোষগুলো সুরক্ষিত থাকে। এভাবেই ‘কলোরেক্টাল ক্যান্সার’ দমন করে ছোলা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct