আপনজন ডেস্ক: করোনার সাত মাসে বাংলাদেশের ২১ জেলার ১৩ হাজার ৮৮৬টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। এক ওয়েবিনারের মাধ্যমে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। জরিপটি পরিচালনা ও প্রতিবেদন তৈরি করেছে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। সহায়তায় ছিল জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল। ঢাকা, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, রাঙামাটি, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, জামালপুর, যশোর, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ ও সিলেটে এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে ২১ হাজার ২৫৮ জন অংশ নেয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়ে, ১৮ বছরের আগে বিয়ে হওয়া মেয়ে, ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়ে আছে—এমন বাবা-মা, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, ইউএনও, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তা, নিকাহ নিবন্ধক, স্থানীয় নেতা, শিক্ষক, পুলিশ প্রমুখ। জরিপের ফলাফল বলছে, ৭৮ শতাংশ বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তা বাবা-মা। আর ৪ হাজার ৮৬৬টি বাল্যবিবাহ নিকাহ নিবন্ধক কর্তৃক নিবন্ধিত হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ তাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে অন্তত একটি বাল্যবিবাহের কথা জানিয়েছে। করোনাকালে নিম্ন আয়ের মানুষ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল আয় হারানো, ক্ষুদ্র ব্যবসা ধ্বংস ইত্যাদি। এই চ্যালেঞ্জগুলোর সঙ্গে সমাজে বিদ্যমান নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিধিবিধান ও বিশ্বাস যুক্ত হয়ে করোনাকালে বাল্যবিবাহের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct