আপনজন ডেস্ক: এ বছর হজে আর যাত্রী সংখ্যার তেমন কড়াকাড়ি থাকছে না। এ ব্যাপারে মুসলিমদের সুখবর দিয়ে সৌদি বাদশাহ বলেছেন, ‘কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে ২০২১ সালের হজ অনুষ্ঠিত হবে।’ যেহেতু ২০২০ সালে হজে শুধুমাত্র হাজার খানেক সৌদির বাসিন্দাদের অনুমতি মিলেছিল। বিদেশিদের হজে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার আর অল্প কয়েকজন ‘হজ পালনকারী’ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে না। ২০২১ সালের হজের ব্যাপারে সৌদি বাদশাহ অনেকটা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এবার হজের পবিত্র স্থানগুলো এমনভাবে সাজানো হবে যাতে করে করোনা মহামারী প্রতিরোধ করা যায়। হজ পালনের জন্য যেসব হাজি আসবেন তাদের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছেন সৌদি বাদশাহ। মক্কা ও মদিনার যেসব স্থানে হজ পালনকারীরা থাকবেন ওই আবাস স্থলগুলোর পৌরকর ও বাণিজ্যিক কর মওকুফ করা হবে। যেসব বিদেশি হজ উমরাহর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত, তাদের সৌদিতে বসবাসের জন্য যে টাকা (ফি) দিতে হতো তা আগামী ছয় বছরের জন্য বন্ধ রাখা হবে। এসব ফি পরের বছরগুলোতে পরিশোধ করতে হবে বলে সৌদি প্রেস এজেন্সি নিশ্চিত করেছে। যেসব ‘মোটর বাস’ এবারের ‘হজ পালনকারীদের’ পরিবহন করবে ওইগুলোর লাইসেন্সও এক বছরের জন্য বৈধ থাকবে। এ লাইসেন্সের জন্য ‘বাস মালিকদের’ অতিরিক্ত কোনো টাকাও দিতে হবে না। আমদানি-রফতানি ও অন্যান্য খাত থেকে শুল্ক আদায়ও তিন মাসের জন্য বন্ধ রাখা হবে। এ সব শুল্ক পরে চার মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তবে, ২০২১ সালের হজ পালনকারীদের জন্য করোনা ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক। স্যানিটাইজ করা হবে বিভিন্ন পবিত্র স্থানগুলোও। তাই কর্তৃপক্ষ এমন প্রযুক্তির ব্যবস্থা করেছে যাতে প্রত্যেক ‘হজ পালনকারী’ পবিত্র স্থানগুলো ভ্রমণের সময় নিজেদের পরিষ্কার (স্যানিটাইজ) করে নিতে পারেন। এছাড়া এমন প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে যাতে করে যেসব ব্যক্তির ভীষণ জ্বর আছে তাদের শনাক্ত করা যাবে এবং অন্য মেডিক্যাল বিষয়গুলোও শনাক্ত করা যাবে।
মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রধান কর্মকর্তা ড. আব্দুল রহমান আল সুদাইস একটি সভায় বলেছেন, ‘বিশ্বকে বলে দাও যে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিই পৃথিবীর একমাত্র স্থান যেখানে এখনো কোনো করোনাভাইরাস প্রবেশ করেনি।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৭ জুলাই, শনিবার আর হজ শেষ হবে ২২ জুলাই ২০২১ সালে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct