রাকিবুল ইসলাম, বহরমপুর: নারী তুমি অর্ধেক আকাশ, আর সেই আকাশকেই আলোকিত করে রাখে সেই নারীই। সেইরকমই এক অনন্যা কান্দির মামনি হাটি। ১১ বছর আগে বিয়ে করার পরে স্বামী ডিভাের্স দেয় মামনি হাটিকে। ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে চলে আসে বাপের বাড়ি। সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি পেলেও এক বছরের মাথায় চলে যায় সেই চাকরি। কি করে সংসার চলবে ছেলেকে মানুষ করবেই বা কি করে? দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। তবুও ভেঙে পড়েননি মামনি। একটা চায়ের দোকানকেই সম্বল করে জীবনের হাল ধরেন মামনি হাটি। কান্দি থানার মোড়ে ছোট্ট একটা চায়ের দোকান খোলেন তিনি। ক্রেতাদের ভিড়ও হয় ভালো। চায়ের দোকান করে ও লটারি বিক্রি করে তিন বছর ধরে সংসার চালাচ্ছেন মামনি। এক ক্রেতা গণেশ চন্দ্র পাল বলেন, চরম দারিদ্রতার মধ্যে একাই সংগ্রাম করে চা বিক্রি করেই ১০ বছরের ছেলে, বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন মামনি হাটি।
সকাল থেকে বাড়ির সমস্ত কাজ সামলে, চায়ের দোকান করে সংসার চালাচ্ছে, পড়াশােনা করাচ্ছে ছেলেকে। আর মামনির এই কাজে খুশি এলাকাবাসীরা।
চায়ের দোকানই পেট চালানাের একমাত্র সম্বল। বাবা, মা ছেলে অন্যান্য ভাই বোনদের দেখাশোনা করেন মামনি। মামনি হাটি বলেন, তবে কোনােদিন ভালো রোজকার হয় আর কোনও দিন হয় না। কোনও রকমে সংসার চলে যায়। জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে সকল নারীর প্রেরণা হয়ে উঠুক এই মামনি হাটি, এটাই স্থানীয়দের কামনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct