আপনজন ডেস্ক: উগ্র ও দেশদ্রোহী সংগঠনের তকমা দিয়ে ২০০১ সারের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন মুসলিম ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া বা সিমি-কে নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর সিমি-র সঙ্গে যুক্ত বহু কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ২০ বছর অগে গ্রেফতার হওযা ১২৪ জন সিমি কর্মী বেকসুর খালাস পেলেন গুজরাতের কোর্টের নির্দেশে। এদের সবাইকে ইউএপিএ আইনে দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
শনিবার গুজরাতের সুরাটের চিফ মেট্রোপটিান ম্যাজিস্ট্রেট এ এন দাভেেএই ১২৪ জনের বিরুদ্ধে সিমি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কোনও প্রমাণ পুলিশ আদালতে পেশ করতে না পারায় বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন। যাদেরকে গ্রেফতার করা হযেচিল তখন তারা ছিলেন বেশিরভাগ তরুণ। কিন্তু যখন ছাড়া পেলেন তখন তারা বার্ধ্যকের দিকেই পা বাড়িযেছেন। অনেকের বয়স ৬০ পেরিয়ে গেছে। জানা গেছে, সিমি নিষিদ্ধ হওয়ার পর ২০০১ সালের ২৮ ডিসেম্বর সুরাটের আঠওয়ালাইন পুলিশ ইউএপিএ আইনে ১২৭ জনকে গ্রেফতার করে। তারা সংগ্রামপুরায় মিটিংয়ে যাচ্ছিলেন। যারা গ্রেফতার হয় তারা শুধু গুজরাতের নয়, অনেকে ছিলেন তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, বিহার মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ এমনকী পশ্চিমবঙ্গেরও। তারার সুরাতের জেলে ১১ মাস থাকার পর জুগরাত হাইকোর্টের রায়ে তামিনে মুক্ত হয়েচিলেন। কিন্তু সেশন কোর্ট তাদের সেই জামিন খারিজ করে দেয়। মামলা চলাকালীন বেশ কযেকজনের মৃত্যু হয়েছে। মুক্তি পাওয়া মহারাষ্টের অরাঙ্গাবাদের বাসিন্দা জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, ৬৮ বছর বয়সে মুক্তি পাওয়ায় আল্লাহকে ধন্যবাদ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct