আপনজন ডেস্ক: মায়ানমারে বিক্ষোভকারীদের উপর নির্বিচারে গুলিচালনার ঘটনা কোনওবাবেই থামছে না। বুধবার একদিনে মায়ানমার সেনাদের গুলিতে কমপক্ষে ৩৮জন বিক্ষোভকারীরর মৃত্যু হয়েছে। থামছে না মৃত্যু মিছিল। বৃহস্পতিবারও দেশটির প্রধানতম শহর ইয়াঙ্গুনে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে মান্দালয়তেও। গতকালের ঘটনাসহ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়েছে। ইয়াঙ্গুনের বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তারা বন্দুক ভয় পেতেন। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির গর্জন সে ভয় কাটিয়ে দিয়েছে। তারা এখন নতুন উদ্যমে আন্দোলন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কয়েকজন বিক্ষোভকারী এও বলছেন, আশিয়ান আর চিনের আচরণে তারা মর্মাহত। এই সরকারকে দমন করতে চাইলে সাধারণ নিষেধাজ্ঞায় কাজ হবে না।
মায়ানমারে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের দূত ক্রিস্টাইন শ্রানার বারগেনার বুধবারের ঘটনাকে ‘রক্তাক্ত দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কোনো সতর্কতা ছাড়াই পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালান। এর মধ্যে মায়ানমারের কেন্দ্রস্থল মনিয়ায় গুলিতে চারজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। ইয়াঙ্গুন, মান্দালি এবং মিনগিয়ানে অন্যদের প্রাণহানি ঘটে। ইয়াঙ্গুনের একটি বিক্ষোভে গুলিতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। বিক্ষোভকারীরা জানান, এ দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ছাড়াও প্রাণঘাতী গুলি ব্যবহার করেন। একজন বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জলকামান ব্যবহার না করে সরাসরি গুলি চালান বিক্ষোভে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট ও অধিকাংশ মন্ত্রীকে আটক করে। এর কয়েক দিন পর থেকেই দেশটির সর্বস্তরের জনতা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct