এহসানুল হক, বসিরহাট: তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়িকা ও তার স্বামীর বিরূদ্ধে তৃণমূলের এক অংশ মিছিল করল। তাদের দাবি কোনভাবেই তৃণমূলের প্রার্থী করা চলবে না। এই দাবি নিয়ে এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ শতাধিক তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বাইক মিছিল করে। প্রার্থী করতে হলে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে এমনটাই দাবি জানানো হয় এই বাইক মিছিলে।এমনি ঘটনা ঘটল মিনাখাঁর মাজমপুরে।যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিনাখাঁ বিধানসভা কেন্দ্রে একুশে বিধানসভা নির্বাচনে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু প্রার্থী নিয়ে গোটা মিনাখাঁ বিধানসভা জুড়ে গুজবের জেরে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ মিছিল, দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই চাঞ্চল্যের মধ্যে বুধবার মিনাখাঁ বিধানসভার মাজমপু্রে তৃণমূলের বাইক মিছিলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এদিন এই এলাকার শতাধিক তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বিদায়ী বিধায়িকা ঊষা রানী মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল এর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাতে প্ল্যাকার্ড ও তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিয়ে বাইক মিছিল করে। এই বাইক মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি করছে বিজেপি। এদিন এই বাইক মিছিলে শেষে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ‘দশ বছরের বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডল আমাদের এলাকায় কোন উন্নয়নের কাজ করেননি, বিধায়িকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ওনার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল একাধিক দুর্নীতি করেছে, উনার জন্য আমরা অনেকই ঘর ছাড়া, তাই আমরা চাই ঊষা রানী মন্ডল ও তার স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মন্ডলকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন একুশে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী না করে, প্রার্থী করতে হলে স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে। তবে এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল বলেন, এই বিক্ষোভ মিছিল শুধুমাত্র এক জায়গাতেই হচ্ছে, সারা মিনাখাঁ বিধানসভার জুড়ে আমি প্রচুর উন্নয়ন করেছি,সেই নিরিখে মিনাখাঁ বিধানসভার প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব ভালোবাসেন, যার নেতৃত্বে এই বাইক মিছিল হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনে তিনিও তৃণমূলের হয়ে কাজ করবেন।
তবে এই বিজেপি নেতা জয়ন্ত মন্ডল বলেন,’এইভাবে নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করে তৃণমূলের কর্মীরা বাইক মিছিল করেছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, তৃণমূল যে সারাক্ষণ দুর্নীতি করে সেটা তৃণমূলের কর্মীরা প্রকাশ করছে, তৃণমূল যে তোলাবাজ, তারা যে কাটমানি খায় বলে দাবী করি এটাই তার চাক্ষুষ প্রমাণ। এদিন তৃণমূল নেতা কালাম মল্লিক বলেন আমরা যেভাবে ঊষারাণী কাছে পেয়েছি, তিনি সবসময় মানুষের পাশে থেকেছেন। আমরা তার কাজে কোনদিন অসন্তুষ্ট হয়নি। তাই কে কি করছে ওটা না দেখে মিনাখার মানুষের স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার বলে আমি মনে করি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct