আরসিনা মল্লিক, নদিয়া: নদিয়া জেলা উত্তর সাংগঠনিক তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত সাহা নামে কৃষ্ণনগর শহর জুড়ে ব্যানার ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে উত্তেজনার পারদ তত চড়ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন নদিয়া জেলাকে দুটি ধাপে ভোট গ্রহন করানোর নির্দেশ জারি করেছেন। লাগু হয়েছে নির্বাচনের সকল বিধি। সরিয়ে ফেলা হচ্ছে গ্রাম শহরের সরকারি ভবন সরকারি জায়গা ইলেকট্রিক পোস্ট থেকে সব রকম দলীয় ফ্লেক্স ব্যানার হেডিং পতাকা। এরইমধ্যে নদিয়ার উত্তর সাংগঠনিক যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত সাহাকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার সমর্থনে কৃষ্ণনগরের একাধিক জায়গায় বড় ফ্লেক্স কাঠের হরিণী সুসজ্জিত করেছে জয়ন্ত সাহার অনুগামীরা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আমরা আমাদের ঘরের ছেলেকে চাই এবং সর্বশেষ লাইনে আমরা জয়ন্ত সাহা দাদার অনুগামী দেখে সবারই মনে হওয়ার কথা তার শুভাকাঙ্ক্ষীরাই আবেগের বশে এ কাজ করেছেন। তবে মাঝের লাইনগুলি খেয়াল করলে বোঝা যাবে এটি ব্যঙ্গাত্মক ঢঙে, তীব্র ক্ষোভের প্রতিবাদ কি লেখা আছে তার মাঝে লাইনে যুব সমাজের নয়নের মনি আমাদের দাদা জয়ন্ত সাহা নিজের চাকরি বউয়ের চাকরি ভাইয়ের চাকরি, বিএড কলেজ, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি, যুব সভাপতি আর শুধু বিধানসভার টিকিট পেলেই ষোলো কলা পূর্ণ হবে। এ বিষয়ে জয়ন্ত সাহা অবশ্য পরোক্ষভাবে তারই প্রচার বাড়ল বলে মনে করেন। তিনি বলেছেন দলের মধ্যে থাকা কিছু কর্মী দিনের শেষে বিজেপির সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। তারাই এ কাজ করেছে বলে তার মনে হয়। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বের নামে পোস্টারে গুঞ্জন বেড়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয় এ আর নতুন কি! এটাই তৃণমূল দল, কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায জিন্দাবাদ বললেই সাতখুন মাফ। দলীয় কর্মীরা প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, প্রতিবাদও করছেন না কেউ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct