জৈদুল সেখ, কান্দি: বাম সমর্থিত জোটে লোকসভায় জয়ী অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং বিধানসভায় জোটে জয়ী সফিউল অালম খান। কিন্তু জয়ী হওয়ার পর অধীর কিংবা সফিউল সেভাবে বামেদের সঙ্গে মিটিং মিছিলে দেখা যায় না। সিপিএমের যুব কমরেড বাপ্পা মন্ডলের বলেন, বামপন্থীরা যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ায় কিন্তু কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা সেভাবে বামপন্থীদের পাশে থাকে না। তা সত্ত্বেও আমদের কোনো যায় আসে না কারণ আমরা পার্টির দায়িত্ব পালন করতে বদ্ধ পরিকর, পার্টির যা সিদ্ধান্ত দেবে আমরা মেনে চলব।
তবে সব মান অভিমান দূর করে ব্রিগেড যাওয়ার প্রচার অভিযানে পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। পথসভা থেকে মিছিল এমন কী বাম যুবকর্মী মইদুলের মৃত্যুর প্রতিবাদ সভা থেকে বনধ পালন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করতে দেখা গেল। সিপিএমের অনেক কমরেডকে মজার ছলে স্লোগান তুলতে শোনা গেল ‘কমরেড অধীর রঞ্জন চৌধুরী জিন্দাবাদ। আগামী ২৮ তারিখ ব্রিগেডে কমরেড অধীরের জনসভায় দলে দলে যোগ দিন’। গত ২৩ তারিখ থেকেই জোর কদমে চলছে ব্রিগেডের প্রস্তুতি। ২৬ তারিখ এবং ২৭ তারিখ কান্দি বাসস্ট্যান্ডে, জীবন্তি, গোকর্ণসহ একাধিক যায়গায় মিছিল ও পথসভা করেন। তবে এবারের দেওয়ালের লিখন শুরু করে মিছিলে পথসভায় প্রচার চমক হিসাবে ‘টুম্পা সোনা কোথায়’ ‘বাবা তোর দরবারে সব চোরেদের মেলা’ প্যারোডি গান বাজিয়ে কিছুটা উৎসাহ চোখে পড়ল। ব্রিগেডের প্রচারে কান্দির বিধায়ক সফিউল আলম খান ( বনু খাঁ) বলেন, আমরা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কান্দি বিধানসভা থেকে পাঁচ হাজার কর্মী সমর্থক নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অন্যদিকে সিপিএম কান্দি এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বরূপ মুখার্জী বলেন, ‘কান্দি থেকেই ১০ হাজারেরও বেশী লোক ব্রিগেডে যাবার প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে।’
দেওয়াল লিখন থেকে প্রচার কোথাও পিছিয়ে নেই বাম কংগ্রেস। এ বছরের ব্রিগেডের টান বা ভালোবাসা এতটাই প্রবল কান্দীর বামফ্রন্টের যুব নেতা সফিউর রহমান কথা শুনলেই বোঝা যায়, ‘পিতা ফরিদ সেখ গত ১৫ দিন আগে ব্রেনস্টকে হসপিটালে ভর্তি। এক মাত্র রোজকারে সংসার চলে। ভেবেছিলাম এ বছর ব্রিগেডে যেতে পারব না কিন্তু গতকাল রাত থেকেই মন কিছুতেই মানছে তাই অসুস্থ পিতকে ওষুধ কিনে দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct