আপনজন ডেস্ক: সমাজসেবার কাজে ও রাজ্যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির শিক্ষা উন্নয়নে এগিয়ে চলেছেন হাওড়ার জেলার উত্তর রাজখোলার ভূমিপুত্র এস এম শামসুদ্দিন। সাধারণ পাঠক সমাজে সংখ্যালঘু বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এক লেখক–প্রাবন্ধিক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবে পরিচিতি। সেটাকেই পাথেয় করে আগামী দিনে তিনি নিবেদিত হতে চান। সমাজ দরদি হিসেবে তার পরিচিতি থাকরেও তার একটি স্বতন্ত্র পরিচিতি রয়েছে। তিনি হলেন আলিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষক প্রয়াত মাওলানা আব্দুল আহাদের পুত্র। যিনি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছিলেন।
পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রেখে রাজখোলা এলাকায় কান পাতলে শোনা যায় সংখ্যালঘু দরদি শিক্ষক-সমাজসেবী প্রাবন্ধিক এম এম শামসুদ্দিনের কথা। তবে বাম অামলে সামগ্রিক বাংলার মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে তার লেখা বই ‘সাচার কমিটির রিপোর্ট ও সমাজসেবী বুদ্ধিজীবীদের ভাবনা’ সাধারণ মানুষের মধ্যে সাড়া জাগায়। তিনি ক্রমশ হয়ে ওঠেন সংখ্যালঘু উন্নয়নপ্রেমী। তাই বাম আমলের অবসানের পর তার কয়েক বিশেষ উদ্যোগে ও তার কয়েকজন শুভানুধ্যায়ীর সহযোিগতায় একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের জন্ম নেয়। সংগঠনটি রাজনৈতিক হলেও লক্ষ্য ছিল পরিবর্তনের সরকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড ও সংখ্যালঘুদের মনের কথা তুলে ধরা। বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চ নামে ওই সংগঠনের সূচনা হয় তার সম্পাদক পদের মাধ্যমে। মঞ্চের অন্যতম রূপকার ও সেটেলার ট্রাস্টি ছিলেন।
এরপর তিনি নিজস্ব সাংগঠনিক বলয় বৃদ্ধি করার লক্ষে ও সাধারণ অসচেতন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এবং অধিকার সচেতন ও দেশ সেবায় কর্তব্যপরায়ণ করার আহবান জানাতে ব্লকে ব্লকে প্রচারে শামিল হন। নিজ গ্রাম রাজখোলা ছাড়াও হাওড়া জেলা ও অন্যান্য জেলাতেও তাঁর সুখ্যাতি ও পরিচিতি লাভ করে। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় সংখ্যালঘু বুদ্ধিজীবী মঞ্চ-এর সূচনা ছিল মূলত তাঁরই ভাবনা ও পরিকল্পনার ফল।
উলুবেড়িয়া উত্তরে রাজখোলা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে কলকাতার মাওলানা আজাদ কলেজ থেকে সাম্মানিক স্নাতক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ও বি এড। তারপর হাওড়া জেলার পাঁচলা আজিম মোয়াজ্জাম উচ্চ বিদ্যালয়ে সহ শিক্ষকতা। ২০১৩ সালে তাঁর ক্ষুরধার নির্ভীক লেখনীর জন্য তাঁকে নতুন গতি পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০০৯-এ মাকে পবিত্র হজ ও ২০১১ সালে খাদেমুল হাজ্জাজ হয়ে হজ পালনও করেন। তার সঙ্গে সংখ্যালঘু বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও সমাজ উন্নয়নেই তিনি নিবেদিত প্রাণ হয়ে পড়েন। আজীবন সেই কাজে ব্রত থাকতে চান।
সেই লক্ষ্যে তিনি ক্রমে ক্রমে শাসক দল তৃণমূলের সৈনিক হিসেবে নীরবে কাজ করে চলেছেন। রাজনীতির আলোকে না গিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এখন উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের ব্লকের সাংগঠনিক সহ সভাপতি পদে আছেন। উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজেদা আহমেদেরত সাংসদ প্রতিনিধি হিসেবে এলাকায় উন্নয়নে শামিল রযেছেন। এছাড়াও তিনি জেলা ও রাজ্যের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। তিনি নিজে গড়ে তুলেছেন মাওলানা আব্দুল আহাদ একাডেমি। সব মিলিয়ে এলাকার ভূমিপুত্র ও কাজের মানুষ হিসেবে তার দক্ষতা নিয়ে স্থানীয় মানুষজন উচ্ছ্বসিত। তাদের বক্তব্য, এস এম শামসুদ্দিন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হলেও একজন আদর্শ জনপ্রতিনিধি হিসেবে নীরবে হাজ করে চলেছেন। তবে তা শাসক দলের হাত ধরেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন বাস্তাবয়িত করার লক্ষ্য নিয়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct