মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: ‘ভোটের ভাগ ঠেকাতেই জোটের প্রয়োজন। তবে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে ব্যবহার হব না আর। নদিয়ার চাপড়ার বন্ধন লজে আইএসএফ-এর কর্মী সভায় এ কথা বললেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। নদিয়ার বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেবেন বলে এমনটাই ইঙ্গিত দেন তিনি। কর্মী সভার পর চাপড়া থানার বানিয়া খড়ি ধর্মীয় সমাবেশে যান পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আসনরফা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেললো বাম-কংগ্রেস জোট! মঙ্গলবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে মুজফ্ফর আহমেদ ভবনে বাম-কংগ্রেস দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠকে আসনরফা চূড়ান্ত হয়। এদিন বৈঠকে কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরি-সহ আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং নেপাল মাহাতো। অন্যদিকে, বৈঠক শেষে বিমান বসু জানান, আসন রফা চূড়ান্ত হলেও কোনও ঘোষণা নয়।
কারণ, আরও ছোট ছোট দল জোটে শামিল হতে চাইছে।
সেই দলগুলি হল পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, জনতা দল (সেকুলার), এনসিপি। তবে এখনও জোটে শামিল হওয়া নিয়ে ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থান ভাইজান আব্বাসের। বুধবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে আইএসএফ। অধীর চৌধুরি বলেছেন, “আমাদের মধ্যে আসন রফা চূড়ান্ত। কে কত আসনে লড়বে এখনই বলছি না। কারণ অনেক ছোট ছোট দল জোটের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আসতে চাইছে। তাদের কিছু আসন ছাড়তে হবে জোটে শামিল হল। পরে বিতর্ক যাতে না হয় তাই এখনই সংখ্যা বলছি না।”বিমান বসু বলেন, “একুশের নির্বাচনে আমরা চাই বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ একসঙ্গে লড়াই করুক। তবে আইএসএফের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত এগোতে পারছে না বাম-কংগ্রেস জোট। সাম্প্রতিক রাজ্য রাজনীতি দেখে অঙ্ক কষছে আই এস এফ। বেশ কিছু সমীকরণ রয়েছে। জোটে শামিল হলে কতটা ফলপ্রসু সিদ্ধান্ত হবে সেটাও ভেবে দেখার আছে। ইতিমধ্যেই ১৯৩টি আসনে রফা করে ফেলেছে বাম-কংগ্রেস। বাকি ১০১টি আসন ছোট ছোট দলগুুলির মধ্যে ভাগাভাগি হতে পারে। এবার আব্বাসের দল কত আসনে সন্তুষ্ট হবেন সেটাই দেখার। তবে নদিয়ায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি দেখে, এবং দৃঢ় মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct