আপনজন ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের সকল দেশ যখন এক অপরকে সাহায্য করতে উদ্যোগী তখন উল্টো পথে চলতে শুরু করল ইসরাইল। যদিও ইসরাইলে এখন করোনা সংক্রমণ থেমে থাকেনি। তারা প্রাণপণ চেষ্টা চরিযে যাচ্ছে করোনা মোকিবলায়। কিন্তু তারা নির্জ্জভাবে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় করোনা ভ্যাকসিনের একটি চালান আটকে দিয়েছে। এরফলে করোনা ভ্যাকসিন থেকে দূরে সরে যাবে ফিলিস্তিনরা এমন আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠছে। মূলত ফিলিস্তিনে যারা করোনা মোকিাবিলায় কাজ করে চলেছেন তাদের জন্যই এই করোনা ভ্যাকসিন আনা হচ্ছিল।
জানা গেছে, ফিলিস্তিনে করোনা সংগ্রামে লিপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রাশিয়া থেকে এসব টিকা আনা হচ্ছিল। চালানটিতে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের এক হাজারটি ডোজ ছিল বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার গাজার শাসক দল হামাস ইসরাইল কর্তৃক এটি আটকে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, এ ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, ইসরাইলের এই পদক্ষেপ একটি সত্যিকারের অপরাধ। এটি সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।
সোমবার রাতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা দাবি করেছেন, ওই চালানটি আটকে দেওয়া হয়নি। বরং এটির ব্যাপারে এখনও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
পশ্চিম জেরুসালেম থেকে সাংবাদিক হ্যারি ফাউসেট জানান, শেষ পর্যন্ত এসব টিকা গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে ইসরাইলি পার্লামেন্টেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে একজন দাবি করেছেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা নয়, বরং হামাসের শীর্ষ নেতারা এসব ভ্যাকসিন পাবেন।
২০০৭ সাল থেকেই গাজা উপত্যকা অবরোধ করে রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বাইরের দুনিয়া থেকে অঞ্চলটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে নিয়মিত সেখানে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।
ধরপাকড় আর বিমান হামলা যেন সেখানে নৈমিত্তিক ঘটনা। এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সঙ্গেই বাস করতে হচ্ছে সেখানকার ২০ লাখ বাসিন্দাকে। জাতিসংঘ ও বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গাজার অর্ধেকেরও বেশি মানুষের বসবাস দারিদ্রসীমার নিচে। এরমধ্যেই ইসরায়েলি তাণ্ডব তাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct