মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষাকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের বিদ্যালয় খোলার কাঙ্খিত দিন ছিল শুক্রবার! তা নিয়ে গতকালকের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি ছিল প্রত্যেক বিদ্যালয়েই। কিন্তু গতকাল ছাত্র-যুব নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ডাকা বনধ, অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন পর স্কুলে যাওয়ার উচ্ছ্বাস, হয়তো হার মানিয়েছে বনধকেও। বিভিন্ন বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় , ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত হলে পঠন-পাঠন চলবে সমস্ত সরকারি নির্দেশ মেনেই। ট্রেন বাস বাজারে বনধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও। বিদ্যালয় কিন্তু তার আঁচ লাগেনি এতোটুকু! থার্মাল স্ক্রীনিং, মাক্স আনতে ভুলে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মাস্ক প্রদান, স্কুলের বাইরে বেসিনে হাত পা ধুয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ, দীর্ঘদিনের না দেখা হওয়া বন্ধু বান্ধবীর আবেগ উপেক্ষা করে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা, এ ধরনের নানা সর্তকতার মধ্য দিয়ে আজকের উপস্থিত হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সজাগ থাকতে দেখা গেল প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে।
এমনকি শ্রেণীর মোট ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতির হার অনুযায়ী ৩০ জনের বেশি একসাথে বসতে না দেওয়ার কারণে, কে কোন শ্রেণিকক্ষে বসবে তাও তদারকি করতে দেখা গেল শিক্ষা সহযোগী কর্মচারীদের। প্রতিটা শ্রেণিকক্ষের মধ্যেই করেনা পরিস্থিতিতে মেনে মেনে চলা বিভিন্ন নির্দেশ বিদ্যালয়ের দেওয়ালে, সিঁড়িতে, শ্রেণিকক্ষে সকল ছাত্র-ছাত্রী দৃষ্টিগোচর হয় এমন জায়গায় লাগানো হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ শুরুর প্রথমেই পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলের কুশল বিনিময় করতে দেখা গেল ক্লাস টিচার কে। এরপর প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে করণা পরিস্থিতিতে মেনে চলা সরকারি বিধি র বিষয় আলোচনা করতে দেখা গেলো, এরপর মূল পঠন-পাঠনের অনলাইন ক্লাসের পর্যালোচনা। তারপর শুরু হয় পাঠ্য বইয়ের। তবে শ্রেণিকক্ষ বেশি থাকা বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেকেই বিদ্যালয় যথারীতি আগের মতই বিদ্যালয় হাজির হবে বলে জানা গেছে। যে বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ কম আছে, তাদের ক্ষেত্রে সপ্তাহের অর্ধেক দিন উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে, যদিও এই ব্যবস্থা নেওয়া বিদ্যালয়ের সংখ্যাটা খুবই কম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct