আপনজন ডেস্ক: মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মা সাধারণত বিশ্বাস করতেন তাদের ছেলেমেয়েরা কোনও সরকারি চাকরি পাবে না। পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার থেকে ঢের ভালো কোনও কাজে যুক্ত থাকা। মধ্যবিত্ত সমাজের সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছেনে এক মুসলিম তরুণী যিনি এখন মধ্যপ্রদেশের ডিএসপি পদে কর্মরত।
ইন্দোরের বাসিন্দা সাবেরা আনসারি এখন মধ্যপ্রদেশের দিওয়াসে ডেপুটি পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট (মহিলা মাখা) পদে আসীন রয়েছেন।
সাবেরা জানান, তার শৈশব থেকেই কোনও বড় স্বপ্ন ছিল না। ১৯ বছর বয়সে যখন কলেজ পড়ুয়া তখন তার বিয়ে নিয়ে নানা প্রস্তাব আসে। কিন্তু তা তাকে বিব্রত করে তোলে। অবশেষে সাবেরা ডিএসপি পদে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। এখন সাবেরা সিভিল সার্ভিসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তরুণী এই পুলিশ অফিসার জানান, ইন্দোরের সরকারি স্কুল থেকে পাস করে কলেজে ভর্তি হন। তখন থেকেই ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন সাধারণ পঠনপাঠনের সঙ্গে। ২০১৩ সালে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে সিদ্ধতে ডিএসপি ট্রেনি হিসেবে নিয়েিজত হন। তার পরিবার আসলে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া এলাকার। তার বাবা মধ্যপ্রদেশে পুলিশে চাকরিতে যোগ দেওযার জন্য ইন্দোরে চলে আসেন। তিনি সংবাদ সংস্থার কাছে সাবেরা অকপটে বলেন, তিনি স্কুলের আর পাঁচজন সাধারণ ছাত্রীর মতো ছিলেন। এমনকী একবার অঙ্কে ফেলও করেন। তবে, সাবেরা জানা, তার বাবার যেহেতু পুলিশের চাকরি তাই তার ইচ্ছে ছিল পুলিশ অফিসার হওয়ার। এতে তার মায়েরও সমর্থন ছিল। সাবেরা তার পরিবারের মধ্যে প্রথম মহিলা যিনি মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণ হন।
এখন তিনি বহু স্কুলে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন। তখনওই তিনি পড়ুয়াদেরকে তাকে দেখে অনুপ্রেরণা জোগানোর কথা বলছেন। তাদেরকে উৎসাহ দিতে পড়ুয়াদের সঙ্গে মোবাইলে সেলফিও তুলছেন।
তবে তিনি জানান, লকডাউনে তার বাবা উত্তরপ্রদেশে জরুরি কাজে গিয়ে আটকে যান। অনেক চেষ্টা করেও ইন্দোরে আনতে পারেননি। তখন মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়ে দেয়, ফিরে এলে চাকরি যাবে না। তবে সাবেরা জানান, তার বাবা বাড়িতে বাবা হিসেবে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু অফিসে গেলে তাকে পুলিশ অফিসার হিসেবে বাবাকে মানতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct