ওবাইদুল্লা লস্কর ও ওয়ারিশ লস্কর, মগরাহাট: কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আিইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে কৃষকরা আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাদের পাশে থাকতে দিল্লি সীমান্তে গিয়ে তাদের পাশে থাকার কথা বলে এসেছি। জমিয়তে উলেমা কৃষকদের আন্দোরনের পাশে আছে। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে কৃষকদের স্বার্থে লড়াই চালিযে যাব। রবিবার মগরাহাট হাইস্কুল মাঠে জমিয়দে উলাময়ে হিন্দরে যাকে গনসমাবেশে একথা বলেন রাজ্যের গ্রন্ধাগার মন্ত্রী ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি।
সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিরোধী আইনেরই প্রতিবাদে এমন অবস্থান বিক্ষোভে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সহ-সভাপতি হামিদ কাসেমী, দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান ও মুক্তি আমিনউদ্দিন সহ একাধিক নেতৃবৃন্দ। শুধু জমিয়ত নেতৃত্ব নয়, ছিলেন বেলুড় মঠের স্বামী পরমানন্দ মহারাজ এমনকী শিখ ধর্মের নেতারাও।
সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ কৃষির নির্ভরশীল। অথচ কালোবাজরি করতে কেন্দ্রীয় সরকার এনেছে নতুন নতুন কৃষি আইন। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষকে ক্ষতি করার জন্য কৃষি বিল পাশ করেছে। সারা দেশের মানুষ কৃষি আন্দোলনে শামিল হয়েছে৷ সেই আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে গাজীপুর সীমান্তে গিয়েছিলাম। এই আইনের বৈধতা দিলে কৃষকেরা দ্রব্যের সঠিক মূল্য পাবে না। ভবিষ্যতে একই শব্দের পুঁজিপতির হাতে দাসত্ব স্বীকার করতে হবে। এই দাসত্ব তেকে মুক্তি দিতে কৃষক আন্দোলনের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন সিদ্দিকুল্লাহ।
সেই সঙ্গে বলেন, পাঞ্জাব , হরিয়ানার মানুষ দেশের মানুষের জন্য ৪০ শতাংশ খাদ্যশস্য উৎপাদন করে। হজ্বের জন্য আরবে গিয়ে দেখি চালের বস্তার গায়ে মেডইন ইন্ডিয়া পাঞ্জাব লেখা আছে। বিদেশের বাজারে কৃষকরা আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করছে, আর সেই কৃষকদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার না মানব না। শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়ে যাবো
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct