বর্তমান সময়ে মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পরিবর্তন, ভাইরাস থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছি সকলে। এই পরিস্থিতিতে সমগ্র দেশের বাজারে বেশ কয়েকটি সামগ্রীর চাহিদা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এই সামগ্রীগুলির মধ্যে সর্বাধিক চাহিদা এখন টিস্যু ন্যাপকিনের। লিখেছেন ফৈয়াজ আহমেদ...
টিস্যু পেপারের চাহিদা হোটেল হোক বা অফিস, সব জায়গাতেই রয়েছে। তবে, এই ভাইরাসের পর থেকে এখন এটি মানুষের জীবনের আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সুতরাং, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে কাগজের ন্যাপকিনের ব্যবসা শুরু করা একটি অত্যন্ত ভাল বিকল্প হতে পারে এবং সরকারও আপনাকে এতে সহায়তা করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক আপনি কীভাবে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
মূলধন/বিনিয়োগ: বাজারে টিস্যু পেপারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায়, ভবিষ্যতে এই ব্যবসায়ের আরও উন্নতির ভাল সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি এই ব্যবসাটি শুরু করার কথা ভাবেন, তবে আপনাকে প্রথমে নিজের থেকে ৩.৫০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এর পরে আপনি যে কোনও ব্যাংক থেকে সহজেই মুদ্রা লোণের আওতায় লোণের জন্য সহজেই আবেদন করতে পারবেন। লোণ অনুমোদনের পড়ে আপনি মেয়াদী লোণ হিসাবে প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং কার্যনির্বাহী মূলধন লোণের আওতায় ৫.৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোণ পাবেন।
আয়ের সম্ভাবনা: এই ব্যবসাটি শুরু করার সাথে সাথে আপনি বার্ষিক ১.৫০ লক্ষ কেজি টিস্যু উৎপাদন করতে পারবেন। আপনি যদি সীমিত পরিমাণের চেয়ে বেশি টিস্যু উত্পাদন করতে চান তবে আপনাকে অনুমোদন নিতে হবে। কেজি প্রতি ৬৫ টাকা দরে উৎপাদিত ন্যাপকিন বাজারে বিক্রি করতে পারেন।
যদি বার্ষিক ১.৫০ লক্ষ কেজি টিস্যু আপনি উত্পাদন করেন, তবে আপনার টার্নওভার ৬৫ টাকা কেজি প্রতি হিসাব করলে উপার্জন দেখা যাবে প্রাযজন ৯৭.৫০লক্ষ টাকা। উপার্জিত টাকা থেকে উত্পাদন ব্যয় অপসারণ করলে দেখা যাবে আপনার বার্ষিক সঞ্চয় প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। অনুমোদন নিয়ে বড় আকারে ব্যবসা শুরু করলে লাভের পরিমাণ আরও বেশী।
প্রাথমিক ব্যয়: এই ব্যবসাটি শুরু করতে, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয় করতে এককালীন ব্যয় হবে প্রায় ৪.৪০ লক্ষ পর্যন্ত টাকা, কাঁচামালের জন্য ৭.১৩ লক্ষ এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য অর্থাৎ পরিবহন, স্টেশনারী, রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুতের বিল ইত্যাদির ব্যয় সহ মোট ১১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct