আপনজন ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে পার্শ্ব শিক্ষকদের ক্ষোভ ছির রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘদিন অনশনও করেন তারা। তাদের জন্য অন্তবর্তীকালীন বাজেটে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশার বাণী শোনালেন। মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন প্রতি বছর ৩ শতাংশ হারে বাড়বে। অবসরের সময় এককালীন ৩ লক্ষ টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন।
কিছুদিন আগে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ট্যাব কেনার টাকা হিসেবে পড়ুয়া প্রতি ১২ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাজেট বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী অর্থবর্ষ থেকে প্রতিবছর দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন। এই প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘তরুণের স্বপ্ন’। এই প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে করোনা কারণে কোনও ছাত্রছাত্রী যেন স্মার্ট ফোন বা ট্যাবের অভাবে আর ানলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণে প্রায় ১ বছর ধরে বন্ধ স্কুল। ক্লাস চলছে অনলাইনে। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাসকারী পড়ুয়াদের বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ প্রত্যেকের কাছে স্মার্টফোন নেই। যুবশক্তি প্রকল্পে দশ হাজার তরুণ-তরুণীকে সরকারি অফিসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেওয়া হবে। পরে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার হবে।
তফশিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য ১০০টি নয়া স্কুল তৈরি করা হবে। নেপালি, উর্দু ও হিন্দি ও কামতাপুরী মাধ্যমে পড়ার জন্যেও একশোটি নয়া স্কুলের কথা ঘোষণা করেন তিনি। রাজবংশী ভাষায় ২০০টি বিদ্যালয়কে সরকারি অনুমোদন দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরে আটশোটি নয়া স্কুল চালুর প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও আইএস-আইপিএসের ট্রেনিংয়ের জন্য ১০০ জনকে প্রতিবছর ট্রেনিং দেওয়া হবে। এদের হোস্টেলে রেখে পড়ানো হবে। সব খরচা সরকার দেবে, স্টাইপেন্ডও দেওয়া হবে। এই খাতে ১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct