আপনজন ডেস্ক: ভোট বড় বালাই! সামনে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে বারে বারে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ-কে হাতিয়ার করেছে একদিকে বিজেপি ও অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ দেশজুড়ে প্রসারিত হলেও কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ লাগু করতে বদ্ধ পরিকর। যদিও দেশজুড়ে সিএএ এখনও লাগু হয়নি। বরং মঙ্গলবার লোকসভা ও রাজ্যসভার বিশেষ কমিটি সিএএ কার্যকরের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। তার ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে লাগু হচ্ছে না নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন। তাই মতুয়াদের সিএএ-র ভিত্তিতে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি ফের ঝুলে রইল।
এতদিন তৃণমূল কংহ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে আসছিলেন, সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি ধাপ্পা। কারণ, মতুয়ারা ইতিমধ্যেই তো নাগরিক। তাহলে ফের তাদেরকে কীভাবে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে সিএএ-র মাধ্যমে। এই বিতর্ক নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম তখন কেন্দ্রীয় সরকার এখনই সিএএ লাগু না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনেকটাই ব্যাকপুটে বিজেপি। কারণ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষসহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বলে আসছিলেন সিএএ লাগু হবেই। কিন্তু এতদিনে তা চালু না হওয়ায় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কার্যকরের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে এক নোটিশে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জানানো হয়েছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকেই লাগু হয়ে যাবে দেশজুড়ে। কিন্তু মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে সিএএ লাগু হওয়ার মেয়াদ ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল ও ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হল। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে তাই সিএএ লাগু হচ্ছে না।
এ বিষয়ে স্মর্তব্য, নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে মুসলিম ব্যতিরেকে ধর্মীয় অত্যাচারে শিকার হওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রভ্যতি ধর্মাবলম্বীরা ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে ভারতে এলে তারা নাগরিকত্ব পাবে। এর ফলে সি্এএ নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের উল্লংঘনের অভিযোগ ওঠে। সিএএ বিরোধী নানা আন্দোলন দেশজুড়ে চলতে থাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct