আপনজন ডেস্ক: তথাকথিত ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যে ধর্মান্তর বিরোধী আইন চালু করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ। ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, সারা দেশজুড়ে যেন ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে উত্তরপ্রদেশের মতো ধর্মান্তর বিরোধী আইন চালু করা হয়।
এই লাভ জিহাদ আইনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে। এর আগে যেভাবে সিএএ নিয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়েছে, সামনে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন থাকায় তা আর হতে দিতে চাইছে না কেন্দ্র। তাই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, দেশজুড়ে ‘লাভ জিহাদ’ প্রতিরোধে ধর্মান্তর বিরোধী আইন আপাতত চালু করতে চাইছে না।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডিকে পাঁচজন কংগ্রেস সাংসদ প্রশ্ন করেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কি মনে করে যে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করা হচ্ছে ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হওয়ার ফলে? আর যদি তাই হয় তাহলে আটকানোর জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই প্রশ্নের উত্তর কিষেন রেড্ডি লিখিত উত্তররে জানান, বলেছেন, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায় রাজ্যদের। ফলে ধর্মান্তকরণ সংক্রান্ত মূল দায় বয়ে যেতে হবে রাজ্যগুলিকে। এছাড়াও বিভিন্ন ‘এজেন্সি’ প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্যম ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ ধর্মান্তর বিরোধী আইন চালু হয়েছে। তাদেরকে অনুসরণ করতে চায় হরিয়ানা, অসম ও কর্নাটক প্রভৃতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও। এই ধর্মান্তর আইনে বলা হয়েছে, যদিও কেউ বিয়ের আগে ধর্ম পরিবর্তন করতে চান তাহলে আগে থেকেই বিচারপতির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। নচেৎ, তা আইনতভাবে অপরাধ বলে গণ্য হবে। উত্তরপ্রদেশে এই আইনের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের নিমানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরব হয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরাও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct