রাকিবুল ইসলাম, বহরমপুর: ২৯শে জানুয়ারীর সেই সকাল। অভিশপ্ত সেই দিন। মুর্শিদাবাদ দৌলতাবাদের বালিরঘাট ব্রিজে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। দেখতে দেখতে কেটে গেল তিনটে বছর। সেই ভয়ানক বাস দুর্ঘটনা, যা কেড়ে নিয়েছিল ৪৬ জনের প্রাণ। আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রতিচ্ছবি।২০১৮ সালের ২৯শে জানুয়ারী অভিশপ্ত সেই দিনটি । মুর্শিদাবাদ দৌলতাবাদের বালিরঘাট ব্রিজে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছিল মানুষের প্রাণ। ভৈরব নদীতে তলিয়ে গিয়েছিল বাস। দেখতে দেখতে তিনটে বছর অতিক্রান্ত। আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রতিচ্ছবি। সকাল ৭টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত লাখাে লাখাে মানুষের ক্লান্তিহীন প্রহর গােনা। চারিদিকে শুধুই স্বজন হারানাের হাহাকার। মটনাহলে ছুটে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা গড়িয়ে আসতেই শুরু হল আমার গলা গাে। সনি হন্যায় পলিফেন্দা তৎপৰত উদ্ধার করা হয়েছিল কয়েকজনকে। তারপর একে একে এজনের মিত্র মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, সম্পূর্ণ উদ্ধার কাজ হতে সময় লেগেছিল ৩দিন। সেই দুর্ঘটনায় সলিল সমাধি ঘটে ৪৬জন বাসযাত্রীর।তাদের আত্মার শান্তি কামনায় শুক্রবার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয় মহারাজপুর বাজার কমিটির পক্ষ থেকে। সেইদিনের সকালের কথা মনে করলে আজ ও বুকের ভেতর কেপে ও তামান্না ইয়াসমিনের পরিবারের। মেট্রোপলিটিয়ান মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী তামান্না বাড়িতে দুটি কাটিয়ে কলেজে ফেরার জন্য সকালে উঠেছিল সেই অভিশপ্ত বসে। পুর্ঘটনার খবর পেয়ে বালিরঘাট ছুট গিয়েছিল বাবা মা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করে মিলেছিল তামান্নার নিথর মৃতদেহ। সেইদিনের কথা মনে করে আজও চোখের জল বাধ মানেনা তামান্নার বাবা মায়ের।ছেলেকে হারানাের যন্ত্রনা আজও ভুলতে পারেনা বৃদ্ধা মা। যে কারনে সেদিন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই জন্য অসাবধানতা বশত মােবাইল কানে নিয়ে বাস চালানাের জন্য আর্জি এই মায়ের।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct