আপনজন ডেস্ক: ফের গুজরাতে সাম্প্রদায়িকতাবাদীদের তাণ্ডবের চিত্র সামনে এলে। সাম্প্রদায়িক অশা্ন্তির ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করল। বুধবার একদল দুষ্কৃতি একটি নির্মীয়মাণ মসজিদের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে কুরআন শরীফে আগুন লাগিয়ে দেয়। লন্ডভন্ড করে দেয় অন্যান্য ধর্শীয় পুস্তক। এ্ই ঘটনায় ফের গুজরাত দাঙ্গার ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিল সেখানকার মুসলিমদের।
জানা গেছে, গুজরাতের দক্ষিণ তাপি জেলার ঐতিহাসিক সোনগাধ এলাকার একটি মসজিদে স্থানয় মসুলিমরা জড়ো হয়ে একটি মিটিং হল-এ নামাজপাঠ করতেন। সেখানেই বুধবার রাতে দুষ্কৃতিরা ঢুকে ভাঙচুর চালিযে বিভিন্ন ধর্মীয় পুস্তকে আগুন ধরিয়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করল।
এ ব্যাপারে স্থানীয় থানার পুলিশ অফিসার এইচ সি গোহিল বলেছেন, কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও এফআইআর করা হয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে। তিনি জানান, ষোড়শ শতাব্দীতে মারাঠা রাজার হাতে গড়া আদিবাসী অধ্যুষিত এই শহর শান্তির শহর বলে পরিচিত। সেখানে এই ধরনের ঘটনা প্রথম ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার পুলিশ তদন্তে নেমেছে বলে জানিয়েছেন মাইনোরিটি কোঅর্ডিনেশন কমিটির আহ্বায়ক মুজাহিদ নাফিস। তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা তাদেরকে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে বলে তিনি জানান।
গুজরাত জামায়াতে ইসলামি হিন্দের সম্পাদক ওয়াসিফ হুসেন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শান্তি রক্ষার ডাক দিয়েছেন। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার পর এই প্রথম এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটল বলে জানা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct