ফৈয়াজ আহমেদ: ঘোরা যাদের নেশা, তাদের কাছে হটস্পট হতে পারে রামনাবগান। বন্যপ্রাণীদের নানা মুহূর্তের ছবি যারা ক্যামেরাবন্দি করতে ভালোবাসেন, তাঁরা ঢুঁ মারতেই পারেন এই অভয়ারণ্যে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারেন এখানে আনায়াসে। সেই রামনাবাগান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির কাছে এক বেলার দারুণ আউটিং হতে পারে।
বর্ধমান স্টেশন থেকে চার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রামনাবাগান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। বর্ধমান থেকে দুর্গাপুরমুখী জিটি রোড বা দুই নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ৫০ মিটার এগোলেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই অভয়ারণ্যে।
যেতে হলে:
বর্ধমান স্টেশন থেকে দুর্গাপুরমুখী বাসে নামতে হবে গোলাপবাগ মোড়। সেখান থেকে থেকে সুকুমার সেন রোড ধরে খানিকটা এগোলেই পৌঁছে যাওয়া যায় রামনাবাগান অভয়ারণ্য। কলকাতা, দুর্গাপুর, আসানসোল থেকে বহু মানুষ প্রাইভেট গাড়িতে এক বেলার জন্য ঘুরে যান এই বন।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
১৪.৩১ হেক্টরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা রামনাবাগান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ১৯৬০ সালে সংরক্ষিত জঙ্গল হিসেবে ঘোষিত হয়। ১৯৭৮ সকালে এই অরণ্যে ৬টি হরিণকে আশ্রয় দেওয়া হয়। তারপরই এই স্থানকে অভয়ারণ্যের তরজা দেওয়া হয়। শাল, সেগুন, পিয়ালের বনে ঘুরে বেড়ায় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও পাখি। যা দেখতে ভিড় জমান সেখানে মানুষ।
যা যা দেখবেন:
১) ১৯৮৮ সালে এই অভয়ারণ্যে ২৭টি চিত্রা হরিণের পাশাপাশা ৮টি মায়া ও ১টি কৃষ্ণসার হরিণও ছিল। বর্তমানে তাদের সম্মিলিত সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬০। তার মধ্যে চিত্রা হরিণের সংখ্যা ৫০।
২) রামনাবাগান অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়ায় চিতা ও ভাল্লুক।
৩) নোনাজলে ঘুড়ে বেড়ানো কুমীর এই অরণ্যের অন্যতম আকর্ষণ।
৪) বিভিন্ন প্রজাতির কচ্ছপ, হাঁস এবং পাখি পর্যটকদের মন ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
থাকার যায়গা:
রামনাবাগান অভয়ারণ্যের আশেপাশে থাকার তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। বর্ধমান কিংবা দুর্গাপুরে এক রাত থেকে এই অভয়ারণ্যে ঢুঁ মারতে পারেন পর্যটকরা।কলকাতার এত কাছাকাছি কোনও ভ্রমণ কেন্দ্র আছে, তা অনেকেই জানেন না।আপনি যদি কাছেপিঠে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে বর্ধমানের রামনাবাগানকে বেছে নিতে পারেন চোখ বুজে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct