আপনজন ডেস্ক: বছর দুয়েক ধরেই ইউরোপের ফুটবলে আলোচিত বিষয় ‘ইউরোপিয়ান সুপার লীগ’। প্রস্তাবিত এই আসরকে ঘিরে রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত। মাঠে গড়ানোর আগেই ইউরোপিয়ান সুপার লীগকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করলো ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও মহাদেশীয় ছয় কনফেডারেশন যৌথ এক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, সুপার লীগে খেললে অংশ নিতে পারবে না বিশ্বকাপ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ফিফা জানায়, ‘ছয় কনফেডারেশন (উয়েফা, কনমেবল, এএফসি, সিএএফ, ওএফসি এবং কনকাকাফ) পরিস্কারভাবে জানাচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি ইউরোপিয়ান কিছু ক্লাবের অংশগ্রহণে ইউরোপিয়ান সুপার লীগ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই আসরকে ফিফা বা এর প্রতিনিধিত্ব করা কোন কনফেডারেশনই স্বীকৃতি দেবে না। কোন ক্লাব কিংবা খেলোয়াড় এই ধরনের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করলে তারা ফিফা ও ছয় কনফেডারেশনের কোন আসরে খেলার যোগ্যতা হারাবে।’
ইউরোপিয়ান সুপার লীগের কথা প্রথম জানা যায় ২০১৮ সালে।
ফুটবলের বহু গোপন তথ্য ফাঁস করে সে বছরই আলোচনায় আসে ডের স্পিগেল। এই জার্মান ম্যাগাজিন তখন জানায়, ‘ইউরোপের বড় ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণে সুপার লীগ নামে একটি আসর শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে’। গত দুই বছরে এই আসরটি নিয়ে গুঞ্জন আরো বেড়েছে।
গত অক্টোবরে বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ সুপার লীগে যোগ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। বিতর্কিত এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। একই সময়ে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সুপার লীগে যোগ দেয়ার বিষয়টা জোরালভাবে ভাবছে। গত ১৮ই জানুয়ারি রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ তুরিন সফরে গিয়েছিলেন জুভেন্টাস সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে। ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম বলছে, জুভেন্টাস সভাপতি আন্দ্রেয়া আগনেল্লির সঙ্গে পেরেজের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সুপার লীগ নিয়ে। আগনেল্লি একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct