আপনজন ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে অনেক আগেই বাম ও কংগ্রেস জোট গড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই জোটধর্ম পালন করতে রবিবার বাম ও কংগ্রেসের তরফে নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে এক বৈঠক হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে কোনও রফাসুত্র বের হল না। তাই বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতারা ফের আলোচনায় বসবেন ২৫ জানুয়ারি। তারপর চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা যৌথভাবে ঘোষণা করা হবে ২৮ জানুয়ারি।
রবিবার কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নির্বাচনী প্রার্থী সমঝোতা নিযে বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই পক্ষের রাজ্য শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে শুরু করে বিমান বসু যেমন হাজির ছিরেন তেমনি কংগ্রেসের পক্ষে হাজির ছিলেন দুই সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি, প্রদীপ ভট্টাচার্যসহ অন্যান্য রাজ্য নেতৃত্ব।
জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস ১৩০টি আসন দাবি করলে বেঁকে বসেন বাম নেতারা। কিন্তু কংগ্রেসকে এতগুলো আসন ছাড়তে বাম নেতারা রাজি না হওয়ায় ঐকমত্যে আসতে পারেনি দুই পক্ষ। ফলে একপ্রকার ভেস্তে যায় নির্বাচনী সমঝোতা বৈঠক। তবে, এই বৈঠক সফল না হওয়ায় জোটে তার প্রভাব পড়বে না বলে দুই দলের নেতাদের দাবি। তাদের বক্তব্য, একদিনের বৈঠকে সমাধান সূত্র বের হয়নি। তার জন্য ফের বৈঠকের ডাক দেওযা হয়েছে। সেই বৈঠকেই রফাসূত্র বের হবে বলে তারা আশা করছেন।
সূত্রে জানা গেছে, মূলত মুর্শিদাবাদে আসন রফা নিয়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বাম নেতাদের বিরোধ বাধে। অধীর মুর্শিদাবাদ সহ রাজজুড়ে ১৩০টি আসন চাইলে তাতে না করে দেন বাম নেতারা। তাদের বক্তব্য, এবাবে আসনের দাবি না করে বিধানসভা ধরে দরে আলোচনা হলে ভাল হবে। কারণ, যে দল যেখানে শক্তিশালী তাদেরকে সেখানেই সুযোগ দেওয়া দরকার। সেই সুযোগটা কাজে লাগাতেই অধীর ১৩০টি আসন চেয়ে বসায় আপত্তি তোলেন বিমান বসুরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। তিনি কোনও রকমে অধীরকে শান্ত করেন। কিন্তু এদিন প্রেস কনফারেন্স বাতির করে দেন।
তবে বৈঠক শেষে জোট নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়েই লড়বে বাম–কংগ্রেস। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও অধীরের সুরে সুর মেলান।
সূত্রের খবর, অধীর ১৩০টি আসন দাবি করে কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে আসন সমঝোতার রাস্তা খোলা রাখতে চাইছেন। যেহেতৃ কংগ্রেস হাই কমান্ড বলে দিয়েছেন, দল ঘোষণার পর আব্বাস সিদ্দিকীর নীতির উপর নির্ভর করছে তাকে সঙ্গে নেওয়া হবে কিনা। কারণ, শুধু মিমের মতো মুসলিম নির্ভর হয়ে উঠলে তার সঙ্গে জোট করতে নারাজ হাই কমান্ড। হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত না মেলায় কংগ্রেসে কিছু আসন হাতে রাখতে চাইছে বলে অধীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর। যদিও, আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে জোটের বিষযে বাম বা কংগ্রেস নেতারা তেমন আলোচনা করেনিন বরে জানা গেছে। আব্বাস সিদ্দিকীর গতিবিধির উপর তাদের নজর থাকছে। কোনও ধরনের ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির দিকে তারা পা বাড়াতে চাইছেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct