নাজিম আক্তার: মালদার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে টীকা দেওয়া হল। গতকালই ৭২টি ভায়েল এসে পৌঁছেছিল হরিশ্চন্দ্রপুর স্বাস্থ্য দপ্তরে। শনিবার টিকাকরণের পর ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোনো অসুবিধা তারা বুঝতে পারেননি। বরং তারা এবার স্বস্তি অনুভব করছেন। গত নয় মাসের দুর্বিষহ পরিস্থিতি এবার হয়তো সত্যিই কাটতে চলেছে বলে অনুমান সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীর। ভ্যাকসিন নিয়ে অযথা বিভ্রান্ত না হতে বলছেন তারা। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টীকা করণের পর সাধারণ মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছাবে বলে জানাচ্ছেন তারা।
টিকাকরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক ১ বিডিও অনির্বাণ বসু, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস,হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল বি এম ও এইচ চিকিৎসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল,চিকিৎসক ছোটন মন্ডল, হরিশ্চন্দ্রপুর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রথম টীকা নেন হেলথ সুপারভাইজার গৌরী দাস।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল বি এম ও এইচ চিকিৎসক অমল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আমি যেরকম নর্মাল ছিলাম সেরকমই আছি। আর পাঁচটা ভ্যাকসিনের মতোই। ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। অনেকেই অযথা ভয় পাচ্ছে। আমি ষাট বছরের একজন ব্যক্তি, টপ অফ দ্য লিস্টে আমার নাম ছিল। টেস্টেড ভ্যাকসিন আমাদের দেওয়া হচ্ছে। এক লক্ষ লোকের মধ্যে একটা ভুল রেজাল্ট আসতেই পারে। সেটা তো নর্মাল, সমস্ত ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য ভ্যাকসিনে যা সাইড এফেক্ট রয়ছে এক্ষেত্রেও তাই। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আমি একদম নর্মাল আছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct