আপনজন ডেস্ক: শীত মানেই বাগান জুড়ে বাহারি ফুলের বাহার। গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, জিনিয়া, গ্ল্যাডিউলাস, সায়ান্থাম। যাবতীয় বিদেশি ফুলের জন্য খুবই উপযুক্ত এই সময়। সব ফুল যখন একসঙ্গে ফুটে থাকে তখন দেখতে কিন্তু অপূর্ব লাগে। তবে এই সুন্দর বাগান তৈরির জন্য অনেক যত্নও করতে হয়। মাটি তৈরি, টব তৈরি, নিয়মিত সার দেওয়া, গাছ লাগানো অনেক কাজ। সব বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া বাগান থাকবেই এমনটা এখন আর হয় না। ফলে একটুকরে ব্যালকনিতেই বাগানো যেতে পারে শীতের বাগান। তার জন্য দরকার একটু পরিকল্পনা। জেনে নীন কীভাবে বাগান তৈরি করবেন এবং যত্ন নেবেন। সারাদিনের সব ক্লান্তি উধাও হয়ে যায় এই একটুকরো সবুজের কাছেই। শীতে এককাপ গরম ধোঁওয়া ওঠা চা ব্যালকনিতে বসে খেতেও কিন্তু মন্দ লাগে না।
যা যা করবেন:
বাজার কিংবা অনলাইন থেকে এনে নিন সুন্দর টব। নার্সারি থেকে মাটি, সার এসব আনুন। জায়গা বেশি না থাকলে হ্যাঙ্গিং টবও লাগাতে পারেন। এছাড়াও সুন্দর দেখতে লোহার পট হোল্ডার কিনতে পাওয়া যায়য়। সেখানেও টব বসাতে পারেন। খেয়াল রাখবেন রোদ যাতে ভালো আসে। গাছের প্রাথমিক শর্তই হল রোদ আর জল। টবের মাটি মাঝে মধ্যেই খুঁচিয়ে আলগা করতে হবে। সার তো দেবেনই। সব সময় কেনা সার না দিয়ে চায়ের পাতা, সবজির খোসা এসবও দিতে পারেন। গাছের পাতা ও ডাল মাঝেমধ্যেই ট্রিম করবেন। তবে প্রয়োজন সাপেক্ষে। পাতা ফ্রেশ দেখানোর জন্য জলের সঙ্গে এপসম সল্ট মিশিয়ে স্প্রে করুন। পোকামাকড় লাগবে না। তবে শীতের চারা যাতে বৃষ্টিতে না ভেজে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
যে গাছ লাগাতে পারেন:
সাধারণত এমন কিছু গাছ লাগান যার মেইনটেন্যান্স কম এবং খুব কম পরিশ্রমেই বেড়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে সবার আগে উঠে আসে গাঁদার কথা। ইনকা গাঁদা হোক কিংবা রক্ত গাঁদা দেখতে খুবই সুন্দর হয়। খুব ছোট টবের মধ্যে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে বেগোনিয়া। এর অতিরিক্ত রোদ ও জলের প্রয়োজন নেই। জিনিয়াও ছোট টবে সুন্দর বেড়ে ওঠে। তবে অতিরিক্ত রোদ না হলেও অতিরিক্ত জল কিন্তু এর প্রয়োজন। পাতাবাহার এর মধ্যে স্নেক প্ল্যান্ট ও অ্যালোভেরা, মানিপ্লান্ট, সিঙ্গোনিয়াম, স্পাইডার প্ল্যান্ট আপনার বাগানকে সমৃদ্ধ করে তুলবে। এছাড়া রংবেরঙের পিটুনিয়া, ক্রিপিং রোজ, চন্দ্রমল্লিকাও লাগাতে পারেন।
আরও যা যা মাথায় রাখবেন:
খুব কড়া রোদে গাছ রাখবেন না। এতে গাছ ঝামলে যায়। অযথা গাছের ফুল ছিঁড়বেন না। কারণ গাছে ফুল ফুটে থাকলেই দেখতে সবচেয়ে ভালো লাগে।
গাছের যত্নে সার ভীষণ প্রয়োজন। বাজার চলতি রাসায়নিক সার না কিনে তৈরি করে নিন প্রাকৃতিক সার। প্রতিদিনের ফেলে দেওয়া মরশুমি সবজির খোসা, সাথে কলার খোসা মিক্সিতে জল দিয়ে পেস্ট করে নিন। জলের সাথে এই পেস্ট ১০:১ অনুপাতে মিশিয়ে দশ দিন অন্তর গাছের গোড়ায় দিন। উপকার পাবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct