আপনজন ডেস্ক: ফের আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন। পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রকে ’সবচেয়ে বড় শত্রু’ বলে অভিহিত করেছেন কিম জন উন। শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম কেসএনএ এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ওই সংবাদপত্র অনুযায়ী কিম জন শুক্রবার এক মন্তব্যে বলেন, ‘আমাদের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করতে মনোনিবেশ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন পিয়ংইয়াংয়ের প্রতি আমেরিকান নীতিমালার প্রকৃত রূপ কখনো বদলায়নি।’
যদিও নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের দু'সপ্তাহ আগে কিমের এমন মন্তব্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এদিকে বাইডেনের মুখপাত্রও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কিম জনের সম্পর্ক বেশ অশান্ত হয়ে উঠেছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের আগে উভয়পক্ষে উত্তেজনা ছিল ক্রমবর্ধমান। পরে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন উত্তর কোরিয়াকে দমিয়ে রাখতে তার নানা আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ড, ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা এবং কোরিয় উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি ওই অঞ্চলে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছিল।
তবে ট্রাম্পকে কিমের পাঠানো স্বভাববিরোধী এক বন্ধুসূলভ বার্তার পর ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই দেশের নেতা প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরে মিলিত হন। সম্মেলন জুড়ে একাধিক আলোচনার পর নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা ও স্থায়ী শান্তির জন্য যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছিলেন তারা। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে দ্বিতীয় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনামের হ্যানয়ে। কিন্তু সম্মেলনটি কোন সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছিল। কিম-ট্রাম্পের অভূতপূর্ব তিনটি বৈঠক সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct