বাবলু প্রামাণিক, সোনারপুর: এক শিশুর শরীরের মধ্যে খাদ্যনালী ছিল। এর ফলে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ছবার অপারেশন করে এখনো তার খাদ্যনালী না হওয়াতে গলার কাছে একটা ফুটো করে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতো এবং লিকুইড জিনিস খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। বাচ্চাটা বয়স এখন ১৫ মাস। বাচ্চাটার বাবা-মা মুখ বধির। বাচ্চাটার নাম আরমান মন্ডল। বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরে। বাচ্চারবাবা একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে কাজ করে। যেটুকু সঞ্চয় করে সমস্ত টাকা সংসারে পিছনে চলে যায় । ছেলের পিছনে হিমশিম খেতে হয় তার বাবাকে ।তার মধ্যে থেকেও সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতার ফুল বাগানে একটা হাসপাতালে তার অপারেশন হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে অনেক টাকা লাগবে তার জন্য এলাকার বিধায়িকা ফিরদৌসী বেগমের কাছে গিয়ে পুরো কথাটা জানায়। তড়িঘড়ি সোনারপুর উত্তরের বিধায়িকা ফেরদৌসী বেগম ৪৮ঘণ্টার মধ্যে একটা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেন।
বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে গিয়ে বিধায়িকা ফেরদৌসী বেগম ও মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার বাচ্চার পরিবারের হাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তুলে দেন। এতে করে বাচ্চার পরিবার সবাই খুব খুশি। বাচ্চার মামাবাড়ি ও খুব গরীব। নিজেরাও খুব গরিব। সেইহেতু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটা খুব প্রয়োজনীয় হয়ে পরে। বিধায়িকা ফেরদৌসী বেগম বলেন, সমস্ত মানুষের স্বাস্থ্য সাথী কার্ড-এর প্রয়োজন। কোন প্ররোচনায় পা না দিয়ে দুয়ারে সরকার এই যে প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন সেই প্রকল্পের অনুযায়ী ৪৮ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বানিয়ে বাচ্চার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পাওয়ার ফলে পরিবার মুখে হাসি ফোটে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct