আপনজন ডেস্ক: ইবোলা ভাইরাসের মতো নতুন এক ধরনের ভাইরাস ফের আপ্রিকা জুড়ে মহামারি সৃষ্টি করতে পারে। এই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন মানুষের জন্য মারাত্মক কিছু ভাইরাস বাসা বেঁধে আছে আফ্রিকার বনে। সে ভাইরাসগুলো যদি কোনোভাবে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়, তাহলে বিশ্বে একাধিক মহামারি দেখা দিতে পারে। এমনই সতর্কবাণী দিয়েছেন চার দশক আগে ইবোলা ভাইরাস সন্ধানী বিজ্ঞানী।
মার্কিন সংবাদসংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, অসুস্থ হওয়ার পর একাধিক রোগের আশঙ্কায় ওই নারীকে ইবোলাসহ নানা ভাইরাসের খোঁজে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরও কোনও নির্দিষ্ট জীবাণুকে চিহ্নিত করা যায়নি। এই কারণে, অজানা এই উপসর্গকে ‘ডিজিজ এক্স’ বা এক্স অসুখ নামে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় এই রোগ কোভিড-১৯ এর মতোই দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু তার মারণ ক্ষমতা প্রায় ইবোলার মতো অর্থাৎ ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ। যদিও ইবোলা সদৃশ উপসর্গে ভোগা ওই নারী আপাতত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত ডিজিজ এক্স এই মুহূর্তে ধারণাভিত্তিক হলেও ব্যাপক সংক্রমণ ঘটলে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ অতিমারী দেখা দিতে পারে।
১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস চিহ্নিত করার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক জাঁ-জ্যাক মুয়েম্বে তামফুম জানিয়েছেন, আমরা এমন এক পৃথিবীতে এখন বাস করছি, যেখানে নিত্যনতুন জীবাণু দেখা দিতে পারে। আর সেটাই মানব সভ্যতার পক্ষে আতঙ্কের।’ এই সমস্ত জীবাণু যে কোভিড-১৯ এর চেয়েও ভয়ঙ্কর সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম হবে, তাও জানিয়েছেন এই অধ্যাপক।
মুয়েম্বের মতে, ভবিষ্যতে পশুদেহ বাহিত বেশ কিছু ভাইরাস মানবশরীরে সংক্রমিত হয়ে ভয়াবহ রোগ ছড়াবে। বর্তমানে আমেরিকার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় কিনশাসা শহরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সংস্থা চালান মুয়েম্বে।
সিএনএন-কে তিনি জানিয়েছেন, যদি আফ্রিকা থেকে কোনও জীবাণু আত্মপ্রকাশ করে, তা হলে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেবে। নতুন ভাইরাস যদি তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে, তা হলে ইউরোপ ও সমগ্র বিশ্বে তার মোকাবিলায় নতুন কৌশল উদ্ভাবন করার সম্ভাবনা থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct