আব্দুস সামাদ মন্ডল, পশ্চিম মেদিনীপুর: এ বছর নতুন আলুর দাম তলানিতে ঠেকায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। পাইকারি বাজারে আলু যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না কৃষকেরা। ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় সর্বপ্রথম আলু উৎপাদন হয়।কয়েকদিন আগে খোলা বাজারে আলুর দাম আকাশছোঁয়া ছিল। কিন্তু যেই নতুন আলু কৃষকরা তোলা শুরু করলো তখনই নতুন আলুর দাম একেবারে তলানিতে নেমে পড়ল। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সে ভাবে ধসা পচা ভাইরাস থাবা বসাতে পারেনি।গত বারের তুলনায় উৎপাদনও অনেকটাই কম বলে মনে করছেন কৃষকরা তার কারণ হিসাবে তারা বলছেন এ বছর শীত মৌসুম দেরিতে আসায় আলুর ফলন মোটেও হয়নি।তবে উৎপাদনের পর বাজারদর যে ভাবে তলানিতে ঠেকছে তাতে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা করছে। কৃষকদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন, এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে ২০ ক্যুইন্টাল আলু উৎপাদন হচ্ছে।
যার দাম বর্তমানে ২৬ হাজার টাকা। গত বছর এই সময়ে সম পরিমাণ আলুর দাম ছিল প্রায় ৪০ টাকার বেশি। ১ বিঘা আলুর জন্য বীজ, সার ও রাসায়নিকের উপর খরচ হয়েছে প্রায় ২৭/৩০ হাজার টাকা।বগডহরা জামশুলি গ্রামের কৃষক আবু মুসা মন্ডল নিজের দুই বিঘা জমিতে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে আলু চাষ করেছেন। আলু বিক্রি করে ৫ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। মুসা বাবুর কথায়, “অনেক আশা নিয়ে চাষ করেছি। বাজারে দাম মিলবে না, ভাবতে পারিনি।”
তবে পাইকারি বাজারে দাম কম মিললেও বগডহরা বাঁকাদহ খুচরো বাজারে আলু কিন্তু প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।পুরাতন আলু দুই বাজারে ২০-২২ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন জ্যোতি আলু ৮-১০ টাকা দামে বাজারে বিক্রি হয়েছে।তালতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা সমীর সাহা বলেছেন, আমরা যে দামে কিনি সেই দামে তো দিতে পারব না, কারন আমার ব্যবসা করেই সংসার চলে এবং নষ্টও হয় আলু তাই কিছু অংশ লাভ রেখে বিক্রি করি।কৃষকরা সরকারি সহযোগিতা জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct