আপনজন ডেস্ক: ফের আমেরিকার বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়ল ইরান। মার্কিন হামলায় নিহত ইরানের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার বদলা নেয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আলী বাকেরি। তিনি বলেছেন, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই।
কাসেম সোলাইমানি হত্যার বছরপূর্তির আগমুহূর্তে এক বাণীতে বাকেরি বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন।
সোলাইমানির চিন্তাধারা বোঝার ওপর গুরুত্বারোপ করে মোহাম্মদ বাকেরি বলেন, ইরান এবং অন্যান্য স্বাধীনতাকামী জাতিগুলো তার হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সন্ত্রাসীরা বিনা প্রতিশোধে ছাড় পাবে না।
জেনারেল বাকেরি বলেন, ৩ জানুয়ারি হচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ইতিহাসের অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক একটি দিন, যে দিন ইরানের সাহসী মানুষ শহীদ হয়েছেন। বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহর জন্য কাজ করেছেন অথচ তাকে কাপুরুষোচিতভাবে শত্রুরা হত্যা করেছে।
জেনারেল সোলাইমানিকে মোহাম্মাদ বাকেরি জাতীয় এবং ইসলামি দুনিয়ার বীর বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, কাসেম সোলাইমানি ছিলেন প্রতিরোধ ফ্রন্টের একজন মহান কমান্ডার, তিনি মুসলিম দেশগুলোকে শিশু হত্যাকারী ইসরাইলের বিরুদ্ধে একক কমান্ডের অধীনে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের দর্প চূর্ণ করেছিলেন।
অন্যদিকে, ইরান আক্রমণের অজুহাত খুঁজছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন অভিযোগ তুলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ট্রাম্প তার দেশে নৃশংস হামলার সর্বোচ্চ পায়তারা করছেন। কিন্তু সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করেই প্রতিহতের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তার টুইট বার্তায় জানান, ট্রাম্প প্রশাসন কোভিড-এর বিরুদ্ধে লড়াই না করে বিপুল অর্থ ব্যয়ে আমাদের অঞ্চলে বি-৫২ বোয়িং স্ট্র্যাটোফোর্ট্রেস মোতায়েন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা বহনযোগ্য বিমানে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অস্থিরতা ছড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন বাহিনীর হাতে ইরাকের বাগদাদে কাসেম সোলাইমানি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ইরান এই হত্যার বদলা নেয়ার প্রতিজ্ঞা করে আসছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct