চীনের উহান থেকে উৎপত্তি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে। প্রতি মুহূর্তে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চীনে তাণ্ডব শুরু হলেও, শোনা যাচ্ছে বর্তমানে সেখানে নিয়ন্ত্রণে এসেছে এই ভাইরাসের প্রভাব। তবে ভাইরাসটি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইউরোপকে। ইউরোপের ইতালি ও স্পেনে শশ্মানে পরিণত করেছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র আমেরিকাকে। এর মাঝে জার্মানের একদল বিজ্ঞানী দাবি করলেন, করোনায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকবেশি। তাদের ধারণা, বিশ্বের কমপক্ষে ২০-৪০ মিলিয়ন (২-৪ কোটি) মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। জার্মানির গটিনজেন ইউনিভার্সিটির দুই গবেষকের (অধ্যাপক সেবাস্তিয়ান ভলমার ও ড. ক্রিশ্চিয়ান বোমার ) দাবি, 'আমরা এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের যে সংখ্যা পেয়েছি তা মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের মাত্র ৬ শতাংশ। অর্থাৎ, বাকি ৯৪ শতাংশ করোনা রোগীর হিসাব আমাদের জানার বাইরে।' ওয়ার্ল্ডওমিটার ওয়েবসাইট বলছে, ইংল্যান্ডে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৭৭ । তবে জার্মানির এই দুই গবেষকের দাবি, এটা দেশটির মোট আক্রান্তের মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ, দেশটির ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ কোভিড-১৯ এ হিসাবের বাইরে রয়েছেন। এই দুই গবেষকের ভাষ্য, ‘প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ মিলিয়নের মতো (৫০ লাখ)।’গবেষকরা আরও বলেছেন, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইতালি, স্পেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের যে সংখ্যা দেখানো হয়েছে, তা হল প্রকৃত সংখ্যার যথাক্রমে ৩ দশমিক ৫, ১ দশমিক ৭ এবং ১ দশমিক ৬ শতাংশ। অথচ, ইতালিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৬, স্পেনে ১ লাখ ৫৩ হাজার ২২২ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। জার্মানির এই দুই গবেষকের দাবি অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে মহামারি কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৬০ লাখ। সেবাস্তিয়ান ভলমার ও ড. ক্রিশ্চিয়ান বোমা বলছেন, 'করোনা আক্রান্ত অনেক রোগীর ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গই প্রকাশ পায় না। আবার পেলেও তা খুবই সামান্য। আর এ কারণেই করোনা রোগীর প্রকৃত তথ্য পাচ্ছে না দেশগুলোর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। আর দেশগুলো থেকে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা তথ্যপূর্ণ নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct