অনেকের মতে শীতে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা প্রচন্ড হারে বেড়ে যায়। বাস্তবের চিত্রটা অবশ্য আলাদা। চিকিৎসকদের মতে, এটা কেবলই মিথ! অ্যাজমা বা হাঁপানি বাড়তে পারে বছরের যে কোনও সময়। মূলত আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়গুলোতে এই অসুখের জন্য বাড়তি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ধুলো, অ্যালার্জি বা দূষণের প্রকোপে ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী যে সরু সরু নালীপথ আছে, তা কুঁচকে যায়। শ্বাসনালীর পেশী ফুলে ওঠার কারণেই এই সংকোচন হয় ও শরীরে অক্সিজেন কম প্রবেশ করে। তাই শ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান মেলে না। এই অসুখের প্রবণতা যাঁদের আছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের সারা জীবনই এই সমস্যা বহন করতে হয়। চটজলদি সমাধান বা সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। তবে কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে ও ডায়েটে কিছু খাবার যোগ করলে এই অ্যাজমা ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই। যাঁরা এখনও পর্যন্ত অ্যাজমায় আক্রান্ত হননি, তাঁদের জন্যও এই সব নিয়ম মেনে চলা জরুরি। কিছুটা জীবনযাপনের পরিবর্তন ও খাওয়াদাওয়ায় বদল আনতে পারলে এই অসুখকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
হাঁপানি ঠেকাতে বেশ কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতেই হবে, সেগুলি হল
১. হাঁপানির রোগী যে ঘরে থাকেন, সে ঘরে যেন যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢোকে।
২. নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখুন, ধুলো যত কম থাকবে রোগী তত সুস্থ থাকবেন।
৩. যখনই বাইরে বের হবেন নাক-মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করুন। সেই মাস্কও যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
৪. পারলে বিছানার চাদর নিয়মিত পাল্টান। রোজ তা সম্ভব না হলেও অন্তত দু’-তিন দিন অন্তর তা বদলে দিন ও পরিষ্কার চাদর পাতুন।
৫. শীত ও বর্ষায় বাড়তি সতর্কতা নিতে বালিশের ওপরের কভার বদলে দিন প্রায়ই। শীতে রোদে দিন বালিশ-কম্বল।
৬. পরনের জামাকাপড় পরিষ্কার রাখুন। কোনও ভাবে সংক্রমিত রোগীর সামনে গেলে বাড়ি ফিরে ভাল করে নিজেকে পরিষ্কার করুন।
৭. বাড়িতে পোষ্য থাকলেও আরও বেশি সাবধান হোন। তাদের মল-মূত্র বা রোম থেকে অসুখের সম্ভবনা বাড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct