শ্রীলঙ্কার এই রাজনৈতিক সংকট কিছুতেই কাটছে না।
শ্রীলঙ্কায় প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের একদিন পরেই সেখানকার সংসদে তুমুল হাতাহাতিতে মেতে উঠলেন সাংসদরা। এই ফলে রাজনীতিতে সংকট আরো চরমে উঠেছে শ্রীলঙ্কায়।গতকাল বৃহস্পতিবারও রাজাপাকসের সমর্থক সাংসদরা রনিল বিক্রমাসিংহের সাংসদদের সঙ্গে তর্কটার্কি ও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়ে ছিলেন।ছিলেন। আহত এক সাংসদকে হাসপাতালেও নিতে হয়। বিতর্ক জোরদার হয় যখন স্পিকার কারু জয়সুরিয়া ঘোষণা করেন যে, শ্রীলঙ্কায় এখন কোনও প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভা নেই।
উল্লেখ্য শ্রীলঙ্কার এই রাজনৈতিক সংকট শুরু হয় গত ২৬ অক্টোবর। ওই দিন প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন। পরদিনই পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করেন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখের গত সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু যখন প্রতীয়মান হয় রাজাপাকসে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে জয়ী হতে পারবেন না তখন সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়।
তবে বুধবার অনাস্থা ভোটে হেরে যান মাহিন্দা রাজাপাকসে। গতকাল স্পিকার এ বিষয়ের উপর ধ্বনিভোট নেওয়ার সময় রাজাপাকসের সমর্থকরা শোরগোল জুড়ে দেন। তারা বারেবারে পার্লামেন্ট ভবন কাঁপিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপরই পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রাজাপাকসে স্পিকারের এই পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব সমর্থন করতে এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান। এরপরই তার সমর্থক এমপিরা বিপক্ষ দলের এমপিদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অনেকে স্পিকারের দিকে জলের বোতল ছুড়ে মারেন। এই গন্ডগোলের মধ্যে একজন সাংসদ আহত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct