কোচবিহারের পর এবার বীরভূম। বীরভূম জেলায় আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকরা জেলাশাসককে ডেপুটেশন দিলেন। স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর সংগঠনের জেলা সভাপতি হাসিবুর রহমান জানিয়েছেন, জেলাশাসক ডেপুটেশন নেওয়ার পর বলেছেন আমি নবান্নে দাবী গুলি পাঠিয়ে দেব এবং আগামী সেশনে যাতে মাদ্রাসা গুলিকে সমস্ত সহযোগিতা করা যায় সেই বিষয়ে আমরা দেখছি। বীরভূমে ২৩ টি আন এডেড মাদ্রাসা অনুমোদন দিয়েছে মা মাটি মানুষের সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন সহ নানা উন্নয়নে রাজ্য সরকার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও তা কার্যকর করা হচ্ছে না। এর ফলে আন এডেড মাদ্রাসাগুলি ধুঁকছে। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের নির্দেশ কার্যকর করার দাবিতে জোরদার আন্দোলন শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি।
পশ্চিমবঙ্গ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটির রাজ্য সম্পাদক আবদুল ওহাব মোল্লা বলেন, আন এডেড মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষকদের বেতন চালু করলে রাজ্যে ২৫০০ জন বেকার সমস্যার সমাধান হবে এবং সংখ্যালঘু এলাকায় শিক্ষার ভালো প্রভাব পড়বে।
তিনি আরো জানান, বাম শাসনের বিদায়ের পর ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সাংবাদিক সম্মেলন করে ১০০০০ আন এডেড মাদ্রাসা দেওয়ার কথা বলেছিলেন।এরপর ২০১৩ সালের ৮ ই ফ্রেব্রুয়ারী মাইনোরিটি ও মাদ্রাসা দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি পি বি সালিম সাহেব সাহেব একটা অর্ডার দিয়েছিলেন প্রত্যেক জেলার জেলাশাসককে। সেই অর্ডারে বলা ছিল অনুমোদিত আন এডেড মাদ্রাসাগুলিকে সরকারী সমস্ত সাহায্য ও সহযোগিতা করবে দফতর। এখন পর্যন্ত মাত্রা ২৩৪ টি আন এডেড মাদ্রাসা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং পিবি সালিম সাহেবের অর্ডারটি আজও বাস্তবায়িত ও কার্যকর হয়নি।দুঃখের বিষয় আজ প্রায় পাঁচটা বছর হয়ে গেল অনুমোদন। তার আরো অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের SPQEM এর স্কীম থেকে ২০১৩ -১৪ সালে একবার মাএ আন এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকরা বেতন পেয়েছিল। তারপর থেকে রাজ্য সরকার দিল্লীতে U.C সাটিফিকেট না দেওয়ার ফলে কেন্দ্রীয় স্কীম থেকে বঞ্চিত আন এডেড মাদ্রাসা গুলি। তাই সরকারি সাহায্য পাওয়ার লক্ষ্যে জোরদার আন্দোলনে নামা হয়েছে বলে জানিয়েছে পঃবঃ আন এডেড মাদ্রাসা বাঁচাও কমিটি।
ওহাব মোল্লার হুঁশিয়ারি দেন, চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে কোন সাড়া না পাওয়া গেলে আগামী ডিসেম্বর মাসে আবার জেলায় জেলায় বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct