জলই জীবন আমার সবাই সেটা জানি। কিন্ত এই জলই যদি দূষিত হয় তাহলে আপনার জীবন যেতেও পারে। দূষিত জল পান করার ফলে আমাদের শরীরে নানান রকম অসুখ বাসা বাধতে শুরু করে।
ভূগর্ভস্থ জল পরিশোধনের মাধ্যমে পুরোপুরি দুষণমুক্ত করা হয় ঠিকই তারপরও বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা যায় না।
তার কারণ যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে এই জল এলাকায় সরবরাহ করা হয় সেখানে লিকেজ বা পুরানো পাইপের কারণে জল দূষিত হয়ে পড়ে।
এছাড়া যে সব গাড়িতে জল সরবরাহ করা হয় তার ট্যাঙ্কগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করাও জল দূষিত হয়ে পড়ার আরেকটি কারণ।
তবে আপনি চাইলে এই জল চাইলে সাতটি উপায়ে শতভাগ বিশুদ্ধ করতে পারেন।
১. ফুটিয়ে : জল বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে পুরানো ও কার্যকর পদ্ধতির একটি হল সেটা ফুটিয়ে নেয়া। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, জল ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ৫ থেকে ২৫ মিনিট ধরে ফোটানো হলে এরমধ্যে থাকা জীবাণু, লার্ভাসহ সবই ধ্বংস হয়ে যায়।
তারপর সেই জল ঠাণ্ডা করে ছেকে পরিষ্কার পাত্রে ঢেকে রাখুন। এই ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের পাত্রের পরিবর্তে কাচ অথবা স্টিলের পাত্র ব্যাবহার করুন।
তবে জল ফুটিয়ে বেশিক্ষণ রাখবেন না তাতে আবারও জীবাণুর আক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
২. ফিল্টার : জল ফোটানোর মাধ্যমেই ক্ষতিকর জীবাণু দূর করা সম্ভব হলেও পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত থাকতে ফিল্টারের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করতে পারেন।বাজারে এখন বিভিন্ন ধরণের ফিল্টার পাওয়া যায়। যেগুলো জীবাণুর পাশাপাশি জলের দুর্গন্ধও পুরোপুরি দূর করতে সক্ষম। আল্ট্রাভায়োলেট পিউরিফিকেশন প্রযুক্তি রয়েছে এমন ফিল্টার ব্যবহার করতে পারেন।
এই ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়মিত ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে তা না হলে বিশুদ্ধ জল পাবেন না।
৩. পটাশ বা ফিটকিরি : ২০ লিটার একটি জলের জারে সামান্য পরিমাণ ফিটকিরি মিশিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রেখে দিলে জলের ভেতরে থাকা নোংরাগুলো জারের নিচে স্তর হয়ে জমে।
এবারে জারের উপর থেকে শোধিত জল সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করুন।
৪. ক্লোরিন ট্যাবলেট বা ব্লিচিং : জলের জীবাণু ধ্বংস করতে ক্লোরিন ব্যবহার করতে পারেন। যদি জল ফোটানো বা ফিল্টার করার ব্যবস্থা না থাকে সেক্ষেত্রে বিশুদ্ধিকরণ ক্লোরিন ট্যাবলেট দিয়ে জল পরিশোধন করতে পারেন।
সাধারণত বাড়ির বাইরে কোথাও ভ্রমণে গেলে অথবা দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে বা জরুরি কোনো অবস্থায় ট্যাবলেটের মাধ্যমে জল শোধন করতে পারেন।
প্রতি তিন লিটার জলেতে একটি ক্লোরিন ট্যাবলেট দিলে বিশুদ্ধ জল পাওয়া যায়।
৫. সৌর পদ্ধতি : যে সমস্ত স্থানে পরিশোধিত জলের অন্য কোনো উপায় নেই সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় সৌর পদ্ধতিতে জল বিশুদ্ধ করা যেতে পারে।
দূষিত জলকে জীবাণুমুক্ত করতে কয়েক ঘণ্টা তীব্র সূর্যের আলো ও তাপে রেখে দিতে হবে। তার ফলে সব ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়ে যায়। জরুরি অবস্থায় দূষিত জল জনিত রোগ ঠেকাতে এই পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct